হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের পরশ

হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের পরশ

কার্তিকের শুরুতেই বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের পরশ। তৃণলতার ডগায় ডগায় টলমল করছে শুভ্র শিশির। শীতল হাওয়ায় হিমেল পরশ বলে দিচ্ছে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে শীত। 

কার্তিকের শুরুতেই বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের পরশ। তৃণলতার ডগায় ডগায় টলমল করছে শুভ্র শিশির। শীতল হাওয়ায় হিমেল পরশ বলে দিচ্ছে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে শীত। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করে। গতকালের তুলনায় ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে শীতের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।

বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ভোরের শুভ্র শিশির চিকচিক করছে সবুজ ঘাসের ডগায় ও চা পাতায়। ভোরের আলোয় শিশির কণাকে মনে হয় হীরের কণা। কিছুটা কুয়াশা জড়ানো প্রকৃতি। শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় চাষিদের।

স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে শীতের মাত্রা অনুভূত হচ্ছে। দিন ছোট হয়ে আসছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। মাঝরাতের পর থেকেই শীত অনুভব হতে থাকে। ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় উত্তরের এ জেলায় অন্যান্য জেলার আগেই শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে অক্টোবর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে নবান্নের গুঞ্জনও শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে।

ফয়সাল মাহমুদ, তন্ময় শিশির ও সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন পর্যটক জানায়, আমরা তেঁতুলিয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছি। এসেই এখানে অক্টোবরেই শীতের পরশ পাচ্ছি। এখানে যে দেশের অন্যান্য জেলার আগে শীত নামে তা প্রত্যক্ষমান। এখানকার প্রকৃতিও শান্তনিবির ও সুন্দর। দর্শনীয় স্থান উপভোগ্যের সঙ্গে এখানে শীতের পরশও উপভোগ্য।

আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় এবং উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে এলে ঠান্ডা অনুভূত হয়। অক্টোবর থেকে উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা পড়া শুরু হয়। এখন থেকেই উত্তরের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। নভেম্বরের শুরু হয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পুরোপুরি শীতের প্রভাব পড়বে।

শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়ে যায় লেপ-তোষক কারিগরদের। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শীত আসার দুয়েক মাসের আগে থেকেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় আনতে শুরু করেছেন। শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোষক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিতে যায় অনেকে।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোর থেকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আজ সোমবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৯ সেলসিয়াস। এর আগের দিন রোববার রেকর্ড হয়েছিল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা তত কমবে।

এসকে দোয়েল/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *