গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরবেন বলে একদিন আগেই জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে ফের নতুন বার্তা দিয়েছেন তিনি।
গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরবেন বলে একদিন আগেই জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে ফের নতুন বার্তা দিয়েছেন তিনি।
তার দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন হাসিনা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অবশ্য একদিন আগেই জয় বলেছিলেন, যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তিনি (হাসিনা) ফিরে আসবেন। যদিও জয় এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হাসিনা আর কখনোই দেশে ফিরবেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে।
কয়েক সপ্তাহের মারাত্মক বিক্ষোভের পর হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হয়ে গত সোমবার প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান। এরপর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বপালন করবে।
রয়টার্স বলছে, হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাথে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আপাতত তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার যখনই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেবে তখনই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’
উল্লেখ্য, চাকরির কোটা নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান।
সেখান থেকে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে তিনি লন্ডনে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।
এছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্স বলছে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনা বর্তমানে নয়াদিল্লি এলাকায় একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, তিনি ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সম্পর্কে কথা বলেছেন। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
জয় বলেছেন, প্রয়োজন হলে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন না তিনি। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং আমরা জয়ীও হতে পারি।
টিএম