অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্কের পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে আগ্রহী। অন্যদিকে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সার্কের বিকল্প হিসেবে পরিচিত বিমসটেক কার্যকরী হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্কের পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে আগ্রহী। অন্যদিকে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সার্কের বিকল্প হিসেবে পরিচিত বিমসটেক কার্যকরী হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিবেচনায় হঠাৎ করে আলোচনায় এসেছে সার্ক। তাহলে কি বাংলাদেশ বিমসটেক থেকে সার্কের দিকে যাচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেককে আমরা ভেবেছিলাম সার্কের একটা বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে। সেটা কিন্তু দাঁড়ায় নাই। কারণ, মিয়ানমার যতক্ষণ শান্ত না হবে ততক্ষণ বিমসটেক সত্যিকার অর্থে খুব ইফেক্টিভ কিছু হতে পারবে না। একইভাবে আমরা কিন্তু সার্কের বিকল্প হিসেবে চাই নাই বিমসটেক।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সার্ক কার্যকরী হোক আমরা চাই। প্রধান উপদেষ্টা নিজে আগ্রহী সার্ক পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে। আমরা দেখি কতটুকু কী করা যায়। সার্কের বিষয়ে আমরা জানি, এটা ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাই না…।
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দর্শন নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে সার্ক। ওই বছরের ৭ থেকে ৮ ডিসেম্বর ঢাকা সম্মেলনের মাধ্যমে জোটটি সাংগঠনিক কাঠামো পায়। এর সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
অন্যদিকে, সাত জাতির আঞ্চলিক জোটের তুলনায় বিমসটেক নবীন। ১৯৯৭ সালে এই জোটের জন্ম।
এনআই/পিএইচ