সমালোচনার মুখে বদলে গেল দেব-স্বস্তিকার সিনেমার পোস্টার

সমালোচনার মুখে বদলে গেল দেব-স্বস্তিকার সিনেমার পোস্টার

আরজি কর আবহে এখনও অশান্ত পশ্চিমবঙ্গের শহর কলকাতা। এমন আবহেই আসন্ন পুজায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেব, রুক্মিণী মৈত্র ও স্বস্তিকা মুখার্জি অভিনীত ছবি ‘টেক্কা’। এবার সেই ছবির পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আক্রমণ। তাই তো কটাক্ষ ও বিতর্কের মুখে পড়ে পুরো কলকাতায় সেই পোস্টার বদল করে দিল ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা।

আরজি কর আবহে এখনও অশান্ত পশ্চিমবঙ্গের শহর কলকাতা। এমন আবহেই আসন্ন পুজায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেব, রুক্মিণী মৈত্র ও স্বস্তিকা মুখার্জি অভিনীত ছবি ‘টেক্কা’। এবার সেই ছবির পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আক্রমণ। তাই তো কটাক্ষ ও বিতর্কের মুখে পড়ে পুরো কলকাতায় সেই পোস্টার বদল করে দিল ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা।

ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছে অভিনেতা দেব এর প্রতিষ্ঠান দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স। এবং পরিচালনায় আছেন সৃজিত মুখার্জি। কিন্তু কী ছিল সেই পোস্টারে যে বদল আনতে হল?

ছবির গল্পে দেখানো হয়েছে, ইরা অর্থাৎ স্বস্তিকার চরিত্রের মেয়েকে অপহরণ করে ইকলাখ অর্থাৎ দেব। ছবির টিজারেই তা স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। দেবকে সেখানে দেখা যাবে একজন পরিচ্ছন্নকর্মীর চরিত্রে। রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা যাবে একজন পুলিশের চরিত্রে। এই মূল তিন চরিত্রের পোস্টারই পড়েছে কলকাতা জুড়ে। আর সেখানেই, স্বস্তিকা পোস্টারের পাশে লেখা রয়েছে, ‘আমার মেয়েকে ফেরাবে কে?’

সে পোস্টারটি নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তার অভিযোগ, আরজি কর এর আবেগকে কাজে লাগিয়ে ছবির প্রচার করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি আঙুল তোলেন সৃজিত ও স্বস্তিকাকে। কুণাল ঘোষ শেয়ার করার পরেই এই পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে যদিও বোঝেন এ শুধু ছবির সংলাপ, তবে অনেকেই আবার এই সংলাপের সঙ্গে আরজি কর আবহের মিল খুঁজে পেয়েছেন।

এই বিতর্ক দ্বিধাবিভক্ত হয় সামাজিক মাধ্যমে। কুণাল ঘোষের পোস্টের উত্তর হিসেবে স্বস্তিকা বলেন, ‘সিনেমায় কীভাবে কাজ হয় উনি জানেন না। আমার ছবির পোস্টারের অনুমোদন আমার থেকে নেওয়া হয় না।’

এরপর দেখা যায়, শহরের বড় বড় প্ল্যাকার্ড থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ‘আমার মেয়েকে ফেরাবে কে’ পোস্টার। তার বদলে লেখা হয়েছে, ‘আমার অবন্তিকাকে কে ফেরাবে ?’ মনে করা হচ্ছে, আরজি কর আবহে বিতর্ক এড়াতেই ‘মেয়ে’ শব্দটির বদলে ছবির চরিত্রের নাম যোগ করা হয়েছে।

ডিএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *