রাজধানীর ওয়ারীতে দুই সহোদর খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রাজধানীর ওয়ারীতে দুই সহোদর খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আকবর হোসেন (৬০), মো. আসিফ সুলতান সিফাত (২৭) ও আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান (২৮)।
ওয়ারী থানার একটি দল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ফ্ল্যাট ক্রয় বিক্রয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত দুই সহোদর হলেন আলামিন ভুঁইয়া (৪২) ও নুরুল আমিন ভুঁইয়ার (৩২)। আলামিন গার্মেন্টেসের ব্যবসা করতেন এবং নুরুল আমিন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন।
তিনি বলেন, নিহত রুহুল আমিন ভুইয়ার (৪০) আপন মেঝ ভাই আলামিন ভূইয়া (৩৮)। ওয়ারী থানাধীন ১০ নং হাটখোলা রোডের ক্লাসিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করেন। ওই ফ্ল্যাটের ল্যান্ড ওনার অ্যাডভোকেট আকবর গং-এর সঙ্গে ২০১৪ সালে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক রিপনের চুক্তি হয়।
পরে ১০ বছরেও নির্ধারিত স্থানে ভবন নির্মাণ না করায় ল্যান্ড ওনার নিজেদের অর্থায়নে ভবন নির্মাণ করে। যেহেতু বাদীর মেঝ ভাই আলামিন ভুইয়ার সঙ্গে ক্লাসিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল, সেহেতু আল আমিন ভূইয়া তার ছোট ভাই নুরুল আমিন ভূইয়াকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৪ আগস্ট ঘটনাস্থলে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট দেখতে যায়।
ওই সময় আসামি সিফাতের নেতৃত্বে আসামি আকবর, রিয়ান ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ভিকটিম আল আমিন ও নুরুল আমিন ভূইয়াকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে স্টিলের ব্যাটন, স্টিলের চাকু, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বুক, পিঠ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এলোপাতাড়ি গুরুতর জখম করে।
তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার বিষয়ে নিহতদের আপন বড় ভাই রুহুল আমিন ভূইয়া একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর ওয়ারী থানার একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং সোর্সের দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসামিদের শনাক্ত করে তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নির্ণয় করেন।
পরে অবস্থান নির্ণয় করার পর ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আকবর হোসেন ও তার ছেলে আসিফ সুলতান সিফাতকে তাদের নিজ বাসা হতে গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে ওয়ারী থানাধীন ১০ নং হাটখোলা রোডের নির্মাণাধীন ভবনের বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি বৈদ্যুতিক শক স্ট্যান্ড, ১টি চাকু, একটি স্টিলের ব্যাটন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেইউ/জেডএস