দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নেত্রকোণায় সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছেন ছাত্র জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় যাওয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও উপাসনালয় তারা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নেত্রকোণায় সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছেন ছাত্র জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় যাওয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও উপাসনালয় তারা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
শহরের নাগড়ার শিববাড়ী, বাড়ৈপাড়া, সাহাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার শিবমন্দির, দূর্গামন্দির, মনোরমা আশ্রমসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে নিজেরা পাহারা বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন তারা।
পাহাড়ায় দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, নেত্রকোণা একটি ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। হিন্দু মুসলমান ভাই ভাইয়ের সম্পর্কের দীর্ঘদিনের এই ঐতিহ্য আমরা কোনোমতেই নষ্ট হতে দেব না। আমরা মিলে মিশে বসবাস করে এ শহরের সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে চাই।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত একজন বলেন, আমাদের বাপ দাদাদের সময় থেকেই আমরা দেখছি হিন্দু ভাইদের সঙ্গে আমাদের ভালো একটা সম্পর্ক। আমাদের হিন্দু ভাইদের ওপর যেন কোনো ধরনের আক্রমণ বা নির্যাতন না হয়, সেজন্য আমরা সবাই মিলে পাহারা দিচ্ছি। নেত্রকোণায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে আমরা এলাকার বাসিন্দারা সবাই মিলে সংখ্যালঘু হিন্দু ভাইদের মন্দির এবং বাড়ি ঘর পাহারা দিচ্ছি।
আরেক এলাকাবাসী বলেন, নাগরা এলাকায় আমরা সম্মিলিতভাবে সংখ্যালঘু যারা আছেন তাদের পরিবার বাড়ি ঘর এবং মন্দির নিজ উদ্যোগে পাহারা দিচ্ছি। আমাদের নেত্রকোণায় একটা ঐতিহ্য আছে। আমাদের সম্প্রীতির দিক দিয়ে খুবই ভালো একটা ইতিহাস আছে। আমরা সচেতন আছি যেন কোন ধরনের কোনো ঝামেলা না হয়। দেশে এখন একটি ক্রান্তিকাল চলছে। আমরা হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, তাদের মন্দির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাসা বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা এলাকাবাসীর সবাই এক হয়েছি এবং আমরা রাতভর পাহারা দিচ্ছি।
চয়ন দেবনাথ মুন্না/এমএ