শেখ হাসিনার লন্ডন যাওয়ার গুঞ্জন, বাংলাদেশ নিয়ে যা বলল যুক্তরাজ্য

শেখ হাসিনার লন্ডন যাওয়ার গুঞ্জন, বাংলাদেশ নিয়ে যা বলল যুক্তরাজ্য

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রচণ্ড চাপের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গেছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মাঝেই সোমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রচণ্ড চাপের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গেছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মাঝেই সোমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি মুখপাত্র লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহে বাংলাদেশে আমরা যে সহিংসতা দেখেছি তাতে প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সদ্য পদত্যাগ করে দেশ থেকে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গন্তব্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এরমাঝেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এসব মন্তব্য করা হয়েছে। শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে লন্ডনে যেতে পারেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর তার চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় বা কোন দেশে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, প্রথমে ভারতে এলেও এখানে তিনি থাকছেন না। এর আগে ভারতের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বেলা তিনটে নাগাদ বিবিসির কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন যে, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দুজনই ভারতে (বা ভারতের আকাশসীমায়) প্রবেশ করেছেন।

আন্তর্জাতিক বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারে বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ দেখা যায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সিজে-৩০ পরিবহন এয়ারক্র্যাফট ভারতের ধানবাদ শহরের ওপর দিয়ে উড়ছে এবং উত্তর ভারতের দিকে এগোচ্ছে।

তবে সেই বিমানটি কোথা থেকে রওনা হয়েছে বা কোথায় যাচ্ছে, সে ব্যাপারে ফ্লাইটরাডারে কোনও তথ্য ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল এটি একটি অনির্ধারিত ফ্লাইট। বিকেল পাঁচটা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্দন সামরিক বিমানঘাঁটিতে আরও একটি সিজে-৩০ অবতরণ করে। তবে এই দুটি একই বিমান কি না তা স্পষ্ট নয়।

ওই বিমানটিতেই শেখ হাসিনা ছিলেন কি না, সেটাও পরিষ্কার নয়। তবে তিনি প্রথমে কোথায় অবতরণ করেন, তারপরে কোন শহরের উদ্দেশে রওনা দেন – সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি বা সরকারি পর্যায়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

দিল্লির সাউথ ব্লকের একটি সূত্র বলেছে, “ভারতে এই মুহূর্তে পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে। ফলে এ ব্যাপারে যা বলার, সবার আগে সরকার সভাতেই বলবে, কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেবে। আপনারা ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।” তবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকেও পার্লামেন্টে বা পার্লামেন্টের বাইরে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি আসেনি।

সূত্র: বিবিসি।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *