শেখ হাসিনা এমন রাজনীতি করলেন দেশ ছেড়েই পালাতে হলো

শেখ হাসিনা এমন রাজনীতি করলেন দেশ ছেড়েই পালাতে হলো

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, তিনি কালিমা হিসেবে জাতির কপালে যা লিখে দিতে চেয়েছিলেন জাতি এটা তার দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছে। এমন রাজনীতি করলেন, বললেন উন্নয়নের রাজপথে দেশকে উঠিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আর তিনি এমন রাজপথ তৈরি করলেন, গাড়িটা তিনি রাজপথ দিয়ে চালিয়ে যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন দেশ ছেড়েই চলে যেতে হলো। সাড়ে ৮০০ বছর আগে লক্ষণ সেন গিয়েছিল, তারপর তিনি গেলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, তিনি কালিমা হিসেবে জাতির কপালে যা লিখে দিতে চেয়েছিলেন জাতি এটা তার দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছে। এমন রাজনীতি করলেন, বললেন উন্নয়নের রাজপথে দেশকে উঠিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আর তিনি এমন রাজপথ তৈরি করলেন, গাড়িটা তিনি রাজপথ দিয়ে চালিয়ে যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন দেশ ছেড়েই চলে যেতে হলো। সাড়ে ৮০০ বছর আগে লক্ষণ সেন গিয়েছিল, তারপর তিনি গেলেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফিরাত এবং আহত-শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা হয়েছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো মানুষকে বলা হয়েছে তিনি ধর্ষক, খুনি, লুটপাটকারী, অগ্নিসংযোগকারী। সময় বদলায়, পরিবেশ বদলায়। সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। সত্য মাটির নিচ থেকে উঠে আসে। নির্যাতন করা হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের, নির্যাতন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের ওপর, নির্যাতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষদেরও। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক বন্ধুদের। কালো আইনে তাদের টেনেহিঁচড়ে জেলে নেওয়া হয়েছে। তারা কাউকে বাদ দেয়নি। সবাইকে নিষিদ্ধ, সবাই রাজাকার।

জামায়াতের আমির বলেন, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে আমাদের হাজারখানেক কলিজার টুকরা জীবন দিয়েছেন। এখানে কোনো দলমত নেই, কোনো ধর্ম নেই। এখানে সকল ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, নিহত ও আহত হয়েছেন। শহীদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না। শহীদরা জাতির সম্পদ, আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই শহীদরা আজীবন জাতীয় বীর। আমরা তাদের সেই মর্যাদায় দেখতে চাই। যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের নিয়ে কোনো দল যেন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা না করি। এটা আমাদের সকলের ত্যাগের ফসল, সকলের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।

আহতদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আহতদের পাশে যাবেন। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা চেষ্টা করছি, যাদের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় তাদেরকে একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে। দু-একটি দেশের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা যদি একটু এগিয়ে আসেন, এই সমস্ত দুঃখী মানুষের বিরাট উপকার হবে। যারা এগিয়ে আসবেন, তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে আমরা কবুল করব।

বিগত সরকারের শাসনামল নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১৭ বছর ৬ মাস এ জাতি বন্দিত্বের নিকট বাঁধা ছিল। মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেড়ি। এ দেশের ১৫ কোটি মানুষ ছিল মজলুম। রাস্তায় যে ভাই বা বোন ভিক্ষা করতেন তিনিও ছিলেন মজলুম। বিগত সরকারের সময় ভিক্ষুকদেরও চাঁদা দিতে হত। প্রত্যেকটি মানুষ ছিল জুলুমের শিকার।

তিনি আরও বলেন, শহীদ নিজামী বলেছিলেন, আমার রক্ত বাংলাদেশে কথা বলবে। আমার রক্ত বাংলাদেশের পরিবর্তনের সূচনা করবে। সাড়ে ১৫ বছর এরা (আওয়ামী লীগ) জাতির ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর। আমাদের মতো মজলুম সংগঠন আর নেই। আর কারও এত নেতাকে হত্যা করা হয়নি। আর কারও বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়নি। আর কারও বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট করা হয়নি। আমাদের পর্দাশীল মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, যে সাংবাদিক ভাই বিদেশে বসে অন্যায়, জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন দেশে তার বোনকে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে। কোনো ভাই ফেসবুকে কিছু লিখলে, আজরাইলরূপী ডিবি তার ঘরে গিয়েছে, হেনস্তা করেছে।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

অভিজিৎ ঘোষ/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *