বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের ৭ নদীর পানি

বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের ৭ নদীর পানি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও নেপ টাইডের (অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার মাঝামাঝি সময়) প্রভাবে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যে কারণে নতুন করে পানি ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও নেপ টাইডের (অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার মাঝামাঝি সময়) প্রভাবে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যে কারণে নতুন করে পানি ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়।

সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদী গুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি।

এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে  ১৩ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদী, বরিশালের কীর্তনখোলা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আশা করা যাচ্ছে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসবে। পানি বৃদ্ধিতে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *