আমির খান-জুহি চাওলাকে বরাবরই মানুষ ভীষণভাবে পছন্দ করেন। তাদের পর্দায় একসঙ্গে দেখায়ও বেশ অন্যরকম। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক, ‘হাম হ্যায় রহি প্যায়ার কে’, ‘ইশ্ক’-এর মতো একের পর এক তুমুল সফল ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন আমির খান-জুহি চাওলা জুটি।
আমির খান-জুহি চাওলাকে বরাবরই মানুষ ভীষণভাবে পছন্দ করেন। তাদের পর্দায় একসঙ্গে দেখায়ও বেশ অন্যরকম। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক, ‘হাম হ্যায় রহি প্যায়ার কে’, ‘ইশ্ক’-এর মতো একের পর এক তুমুল সফল ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন আমির খান-জুহি চাওলা জুটি।
আটের দশকের শেষ থেকে নয়ের দশকের শেষভাগ পর্যন্ত এই রোমান্টিক জুটিতে মজেছিল দর্শক। তবে জানেন কি পর্দায় তুমুল রোমান্স করলেও আদতে সাত বছর মুখ দেখাদেখি করেননি এ তারকা জুটি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ‘ইশ্ক’ ছবির শুটিংয়ে। শুটিংয়ের ফাঁকে জুহির পিছনে লাগেন আমির। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন জুহি চাওলা। পরে গোটা বিষয়টি ধরতে পেরে রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই একথা জানিয়েছিলেন জুহি। তিনি বলেন,‘আমির এত পিছনে লাগত যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। ঝামেলাও বাঁধত। শেষ ঝামেলার রেশ এতদূর গড়ায় যে পরের সিন্ ছবির শুটিংয়ে পর্যন্ত হাজির হইনি আমি। আমার এহেন কাণ্ড দেখে সাংঘাতিক রেগে গিয়েছিল আমিরও।
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তারপর যদিও ছবির শুটিং একসঙ্গে শেষ করি আমরা, কিন্তু কেউ কারও সঙ্গে কথা বলিনি চিত্রনাট্যে লেখা সংলাপ আওড়ানো ছাড়া! আমরা দু’জন্যে ভেবেই নিয়েছিলাম এই জীবনে কেউ কারও সঙ্গে আর কথা বলব না আমরা। কিন্তু বছর সাতেক পর পরস্পরের সঙ্গে আবার কথা বলা শুরু করেছিলাম আমরা।’
প্রসঙ্গত, ‘ইশ্ক’ ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়ার পরেও পরস্পরের সঙ্গে কথা চলাচলই শুরু করেননি আমির-জুহি। ২০০২ সালে প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় আমিরের। সময়টা কঠিন ছিল অভিনেতার পক্ষে। সেইসময় এগিয়ে যান জুহি। নিজে উদ্যোগ নিয়ে ফোন করেছিলেন আমিরকে। বন্ধু হিসাবে পাশে দাঁড়ান রিনা ও আমির-দু’জনের পাশে।
এমআইকে/