যতদিন বাঁচি, যেন ভালোবাসা নিয়ে হৃদয়ের উত্তাপ বিলিয়ে

যতদিন বাঁচি, যেন ভালোবাসা নিয়ে হৃদয়ের উত্তাপ বিলিয়ে

দেশের গুণী উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক হানিফ সংকেতের জন্মদিন আজ। ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্ম গ্রহন করেন তিনি। জীবনের ৬৫ বছর পার করে ৬৬-তে পা রাখলেন।

দেশের গুণী উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক হানিফ সংকেতের জন্মদিন আজ। ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্ম গ্রহন করেন তিনি। জীবনের ৬৫ বছর পার করে ৬৬-তে পা রাখলেন।

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই ভক্ত, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছাবার্তা সিক্ত হচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি সকলের উদ্দেশে শুভকামনা জানিয়েছেন এই উপস্থাপক নিজেও। 

নিজের জন্মদিন উপলক্ষে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যত দিন বাঁচি, বাঁচি যেন ভালোবাসা নিয়ে বাঁচি যেন হৃদয়ের উত্তাপ বিলিয়ে।’

সবার কাছে দোয়া চেয়ে হানিফ সংকেত বলেন, ‘আপনাদের ব্যস্ততম জীবনে আমার এই জন্ম তারিখটি মনে রেখে যারা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন- সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়। দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন সবাই।’

১৯৮৯ সালে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ উপস্থাপনা শুরু করেন তিনি। ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিলেও প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে প্রথম খ্যাতি লাভ করেন এই শিল্পী।

‘ইত্যাদি’তে হানিফ সংকেত তার উপস্থাপনায় কেবল হাস্যরসকে প্রধান্য দেন না। এর মাধ্যমে সমাজের নানা প্রচলিত অসঙ্গতির বিরুদ্ধে জোরালো কণ্ঠ রাখেন। অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও বিরোধিতা থাকে কিছুটা রম্য হলেও নজর কাড়ে সবার।

নিজের কাজের বিষয়ে খুবই যত্নশীল হানিফ সংকেত। নাটক পরিচালনাতেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন অনেক। তার পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি। তার মধ্যে ‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ, ‘অকান্ড কান্ড, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র’, ‘প্রতি ও ইতি, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম।

এছাড়া উপস্থাপনার পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। এছাড়া ‘প্রথম প্রেম’ নামে একটি সিনেমায় ‘তু তু তু তারা, মর্জিনার বাপ মার্কা মারা’ শিরোনামে একটি গানও গেয়েছেন তিনি।

গুণী এই ব্যক্তিত্ব ২০১০ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’ পেয়েছেন। পেয়েছেন ‘জাতীয় পরিবেশ পদক’ এবং ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’সহ দেশি-বিদেশি অনেক সম্মাননা।

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *