বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পটভূমিতে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন সফল হয়েছে। বতর্মান সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। তাই এই সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। এখন কর্তব্য হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এই সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিবিদরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পটভূমিতে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন সফল হয়েছে। বতর্মান সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। তাই এই সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। এখন কর্তব্য হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এই সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিবিদরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, এক সময় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন হয়েছে। সারা পৃথিবীর মধ্যে তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি রেখেছিল। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। গুম, খুন করা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীদের। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশের আদালত, নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কুক্ষিগত করে নগ্ন ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা এখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের নতুন অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। এই অভিযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের পরিপূর্ণ বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আনোয়ারুল হক, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি হযরত আলী, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফজাল এইচ খান, সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে নেতৃবৃন্দের অংশ গ্রহনে একটি শোভাযাত্রা নগরীর টাউন হল মোড় থেকে শুরু হয়ে গাঙ্গীনাপাড় হয়ে স্টেশন রোড গিয়ে শেষ হয়। এতে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখক নেতাকর্মী অংশ নেন।
আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর