মাত্র ১০ রানে অলআউট, টি-টোয়েন্টির বিশ্বরেকর্ড

মাত্র ১০ রানে অলআউট, টি-টোয়েন্টির বিশ্বরেকর্ড

একাদশে থাকা সব ক্রিকেটারই ক্রিজে নেমেছেন, তার মধ্যে পাঁচজনই রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাকিদের মধ্যে চারজন রান করেছেন ১ করে, আর দুজনের ব্যাটে আসে ২ রান করে। এই যদি হয় ব্যক্তিগত রানের নমুনা, তাহলে দলীয় পুঁজি কত হবে সেটা নিশ্চয়ই অনুমান করা কঠিন নয়। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১০ রানেই অলআউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে মঙ্গোলিয়া।

একাদশে থাকা সব ক্রিকেটারই ক্রিজে নেমেছেন, তার মধ্যে পাঁচজনই রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাকিদের মধ্যে চারজন রান করেছেন ১ করে, আর দুজনের ব্যাটে আসে ২ রান করে। এই যদি হয় ব্যক্তিগত রানের নমুনা, তাহলে দলীয় পুঁজি কত হবে সেটা নিশ্চয়ই অনুমান করা কঠিন নয়। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১০ রানেই অলআউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে মঙ্গোলিয়া।

প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুরের জয়টা একপ্রকার তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। যদিও লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তারাও এক উইকেট হারিয়ে বসে, তবে ঠিকই ৫ বলেই ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় এশিয়ান দেশটি। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বে এই অদ্ভুতুড়ে ম্যাচের দেখা মিলেছে। তবে এবারই প্রথম নয়, আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম রানের চারটি ইনিংসের তিনটিই মঙ্গোলিয়ার। এ বছরই দুটি ম্যাচে তারা ১২ ও ১৭ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা উপহার দিয়েছিল।

তবে মঙ্গোলিয়ার এই লজ্জার রেকর্ডটিতে আরও একটি দলের ভাগ রয়েছে। তাদের আগে সর্বনিম্ন স্কোর ১০ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি এককভাবে দখলে ছিল আইল অব ম্যান। স্পেনের বিপক্ষে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই ওই কীর্তিটি গড়েছিল আইল অব ম্যান। পরে স্পেন কোনো উইকেট না হারিয়েই সেই রান মাত্র ২ বলে পার করে ফেলে।

দ্বিতীয়বার এমন লজ্জার কীর্তি গড়তে মঙ্গোলিয়া আজ (বৃহস্পতিবার) মালয়েশিয়ার বাঙ্গিতে মুখোমুখি হয় সিঙ্গাপুরের। আগে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গোলিয়ানদের বিপর্যয়টা শুরু হয় একেবারে প্রথম বল থেকেই। গোল্ডেন ডাক নিয়ে মোহন বিবেকানন্দর বিদায়ের পর চতুর্থ বলে দাবাসুরেন জামিয়ানসুরেনও শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ১০ ওভার পর্যন্ত খেলেছিল মঙ্গোলিয়া। কেবল দুজন ব্যাটার ১০–এর বেশি বল খেলেছেন। সঞ্চির নেটসাগদর্জ ১৪ (১ রান) এবং জলজাভখ্লান সুরেন্টসেটসেগ ১৩ (২ রান) বল খেলেন।

তাদের এই বিপর্যয়ে স্বাভাবিকভাবেই রেকর্ডগড়া স্পেল করার কথা সিঙ্গাপুরের বোলারদের। হয়েছে তাই, চার ওভারে মাত্র ৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন হার্শা ভারাদজ। যা টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। মূলত তার বোলিং তোপেই মঙ্গোলিয়া পাওয়ারপ্লেতে ৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা সবমিলিয়ে ১০ ওভার খেলে মেডেন দেয় ৩ ওভার।

যৎসামান্য এই লক্ষ্য মাত্র ৫ বলেই সিঙ্গাপুর তাড়া করে জিতেছে। যদিও তারা প্রথম বলেই উইকেট হারায়, পরে ৯ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয় সিঙ্গাপুরের। টুর্নামেন্টে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। মঙ্গোলিয়া চার ম্যাচের সবগুলো হেরে এশিয়ান বাছাইয়ের ‘এ’ গ্রুপের তলানিতে। ৭ দলের এই গ্রুপে চতুর্থ সিঙ্গাপুর।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *