রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন— রাহুল (২২), শাহরুখ(২৩), রয়েল(২৫),পারভেজ, ইমন ওরফে এ্যালেক্স ইমন (২৭)। তবে হত্যায় জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন— রাহুল (২২), শাহরুখ(২৩), রয়েল(২৫),পারভেজ, ইমন ওরফে এ্যালেক্স ইমন (২৭)। তবে হত্যায় জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার সাদিক খান আড়তের সামনে নাসির ও মুন্নাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দুইটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের নির্দেশে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই যুবককে হত্যা করা হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ২৪ বছর পর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান ওরফে পিচ্চি হেলাল জেল থেকে ছাড়া পান। মোহাম্মদপুর এলাকায় তার একক আধিপত্য রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতা জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। ইমন ওরফে এ্যালেক্স ইমনের নামে মোহাম্মদপুর থানাসহ হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহত মুন্নার নামেও মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত নাসির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাদেক খান আড়তের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় কুপিয়ে নাসির ও মুন্নাকে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত মুন্নাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এসএএ/এমএ