মহানবীকে কটূক্তি, থানা ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

মহানবীকে কটূক্তি, থানা ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করা পার্থ বিশ্বাস পিন্টু (২৬) নামে এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করা পার্থ বিশ্বাস পিন্টু (২৬) নামে এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে পটিয়া থানা প্রাঙ্গণ ঘিরে রাখে স্থানীয় লোকজন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পটিয়া থানার মোড়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে পটিয়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু এরই মধ্যে পটিয়ার পার্থ বিশ্বাস পিন্টু নামে এক যুবক ইসলাম ধর্ম ও নবীকে অবমাননা করে কটূক্তি করেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। আজ দুপুরে তাকে পটিয়া থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। পরক্ষণেই খবর পেয়ে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনতা থানা ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নিতে চান। এতেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ধর্ম অবমাননা নিয়ে মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। স্থানীয়রা থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। সেনাবাহিনীও এসেছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এ প্রসঙ্গে মাওলানা কাজী আখতার হুসাইন আনোয়ারী জানান, ‘ইসলামে ধর্ম ও নবীকে অবমাননার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ভারতে আগেও অনেকে আমাদের প্রাণের নবীকে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননা করেছে। আমরা এর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এমনকি যারা নবীকে অবমাননা করে যাচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় তৌহিদি জনতা ফুঁসে উঠবে।’

আরএমএন/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *