যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামডেন শহরের টাউন সেন্টার পার্কে পারফরম্যান্স ছিল মার্কিন র্যাপার ফ্যাটম্যান স্কুপের। গত শুক্রবার চলা সেই পারফরম্যান্সে আচমকাই লুটিয়ে পড়লেন তিনি! অতঃপর, দর্শক-শ্রোতাদের সামনে ৫৩ বছরেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল এই শিল্পীর।
যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামডেন শহরের টাউন সেন্টার পার্কে পারফরম্যান্স ছিল মার্কিন র্যাপার ফ্যাটম্যান স্কুপের। গত শুক্রবার চলা সেই পারফরম্যান্সে আচমকাই লুটিয়ে পড়লেন তিনি! অতঃপর, দর্শক-শ্রোতাদের সামনে ৫৩ বছরেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল এই শিল্পীর।
স্কুপের প্রতিনিধি সূত্রে বিবিসির খবর, মৃত্যুকালে মঞ্চে গান গাইতে গাইতে লুটিয়ে পড়েছিলেন এই র্যাপার। হ্যামডেন শহরের মেয়র লরেন গ্যারেট জানিয়েছেন, এ অবস্থায় তাকে আম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে হাসপাতাল থেকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর এই গায়কের বুকিং এজেন্সি তার মৃত্যুর বিষয়টি খবরে আনেন।
এজেন্সির একজন মুখপাত্র বলেছেন, স্কুপ ছিলেন সংগীত জগতের একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। যিনি বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ভক্তদের ভালোবাসা পেয়েছেন। তার আইকনিক কণ্ঠ মহান শিল্পীদের ওপর অমোচনীয় প্রভাব রেখেছে।
সামাজিক মাধ্যমে স্কুপের পরিবার জানান, একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন ঘটলো, যিনি মঞ্চ ও জীবনের জন্য ছিলেন আলোর উৎস।
উল্লেখ্য, ফ্যাটম্যান স্কুপ শুধুমাত্র একজন বিশ্বমানের পারফরমার ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন পারিবারিক মানুষও। ১৯৯০-এর দশকে নিউ ইয়র্ক সিটির হিপ হপ দৃশ্যে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। স্কুপ মিসি এলিয়টের গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী গান ‘লুজ কন্ট্রোল’ এবং মারিয়া কেরির ‘ইটস লাইক দ্যাট’ সহ জনপ্রিয় গানে অংশ নিয়েছেন।
স্কুপের পরিচিত একটি হিট গান ‘বি ফেইথফুল’, যেটি ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এবং ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিকভাবে সাফল্য অর্জন করে, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে শীর্ষে পৌঁছায়।
ডিএ