মজারুর ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার’ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

মজারুর ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার’ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

দুই শতাধিক ‘মানব ক্যালকুলেটর’ শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে শেষ হয়েছে ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার’ প্রতিযোগিতা। অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম মজারু এডুকেশন টেকনোলজিস লিমিটেডের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।

দুই শতাধিক ‘মানব ক্যালকুলেটর’ শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে শেষ হয়েছে ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার’ প্রতিযোগিতা। অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম মজারু এডুকেশন টেকনোলজিস লিমিটেডের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে দিনব্যাপী এই গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টারস সিজন-২’ তে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে বাছাইকৃত ২৩৬ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালে। গ্র্যান্ড ফিনালে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দুজন ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে এক লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে। তাছাড়া আরও ২১ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।

বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জয়ী মনামী জামান।

অ্যাবাকাস একটি প্রাচীন ক্যালকুলেশন টুল। বর্তমানে সারাবিশ্বে শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে এ টুলের ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যাবাকাস শেখার মাধ্যমে শিশুরা কল্পনা করে দ্রুত হিসাব করতে পারে, এতে তাদের কল্পনাশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মেধার বিকাশ ঘটে। শিশুরা কত দ্রুত কল্পনা করে হিসাব করতে পারে সেই প্রতিযোগিতাই ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টারস সিজন-২’।

উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থী সৈয়দ আরহাম জাওয়াদ বলে, আমরা অনলাইন ক্লাসে অ্যাবাকাস শিখেছি। আজ ফাইনালে ৫ মিনিটে ৫০টা অঙ্ক করার প্রতিযোগিতা দিয়েছি। আমাদের টিচাররা না শেখালে এটা কেউ পারত না। অ্যাবাকাস একটা খেলার মতো, যেকেউ ক্লাস করলে এটা শিখতে পারবে।

ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী সারাহ জিমি বলেন, আজ আমি অ্যাবাকাস শিখেছি। এটা একটা যন্ত্র, যা দিয়ে ম্যাথ করা যায়। যখন আমাদের ম্যাথ দেওয়া হয় তখন আমরা মনে মনে নিজেকে অ্যাবাকাস ভেবে চোখ বন্ধ করে ভাবি। মনে মনে সংখ্যাগুলো ওঠানামা করে সঠিক উত্তর খুঁজে বের করি।

মজারুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স বলেন, আগে দেখা যেত গ্রামের শিক্ষার্থীরা শহরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকত। কিন্তু এখন মজারুর মাধ্যমে গ্রামের শিক্ষার্থীরা শহুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা অনলাইনে স্বনামধন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছি। বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে সবাইকে একই প্লাটফর্মে একত্রিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গণিতে অ্যাবাকাস নামের বিষয় যুক্ত থাকে যা আমরা মজার ছলে শেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের জেলা শহরের একটা স্কুল থেকে এটা শুরু হয়ে এখন পৃথিবীর ৩২টি দেশের শিক্ষার্থীদের আমরা অ্যাবাকাস শিখাচ্ছি। আগামীর যুগোপযোগী মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে গড়তেই আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মজারুর চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন, চিফ একাডেমিক অফিসার আসাদ জোবায়ের, চিফ অ্যাডমিশন অফিসার পরীক্ষত দে, এক্সিকিউটিভ একাডেমিক অফিসার মেজর (অব.) রাশেদুজ্জাম্মান খান প্রমুখ।

কেএইচ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *