ভারতের অভ্যন্তরে নিহত রেজাউলের ফের ময়নাতদন্ত হবে : বিজিবি

ভারতের অভ্যন্তরে নিহত রেজাউলের ফের ময়নাতদন্ত হবে : বিজিবি

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকা সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক মো. রেজাউল করিম কাঁটাতার পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিহত হয়েছেন। শনিবার তার মরদেহ হস্তান্তর করবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকা সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক মো. রেজাউল করিম কাঁটাতার পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিহত হয়েছেন। শনিবার তার মরদেহ হস্তান্তর করবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ভারতে রেজাউলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এসব তথ্য জানান।

রেজাউল করিম (২৬) শেরপুর সদর উপজেলার আলিনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজিবি জানায়, শনিবার (২৬ অক্টোবর) নেত্রকোণা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হবে। মরদেহ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা হবে।

বিএসএফ বিজিবিকে জানিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকা সীমান্তে কাঁটাতার থেকে ১০০-১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ সময় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে ৬ জন পালিয়ে যান। তবে রেজাউল সেখানে একটি কালভার্ট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের নিচে পানিতে তলিয়ে যান। 

পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানে ২৪ অক্টোবরে তার মৃত্যু হয়। ভারতে রেজাউলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম একজন ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। ২৪ অক্টোবর ধোবাউড়া সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে সীমান্তে বিকট গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে রেজাউল করিমের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। 

এমএসি/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *