বার্সা ছেড়ে পুরোনো ঠিকানায় ফিরলেন গুনদোয়ান

বার্সা ছেড়ে পুরোনো ঠিকানায় ফিরলেন গুনদোয়ান

জার্মান মিডফিল্ডার ইলকাই গুনদোয়ানের সাম্প্রতিক ফুটবল ক্যারিয়ার যেন নাটকীয়তায় মোড়ানো। ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ২০২৩ সালে তিনি ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। এরপর কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি ছিল দুই বছরের। তবে এরই মাঝে বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেন গুনদোয়ান। যেখান থেকে নতুন করে পুরোনো ঠিকানা সিটিতেই যোগ দিলেন সাবেক এই জার্মান তারকা।

জার্মান মিডফিল্ডার ইলকাই গুনদোয়ানের সাম্প্রতিক ফুটবল ক্যারিয়ার যেন নাটকীয়তায় মোড়ানো। ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ২০২৩ সালে তিনি ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। এরপর কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি ছিল দুই বছরের। তবে এরই মাঝে বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেন গুনদোয়ান। যেখান থেকে নতুন করে পুরোনো ঠিকানা সিটিতেই যোগ দিলেন সাবেক এই জার্মান তারকা।

এদিকে, ক্লাব বদলের আগে অনেকটা আচমকাই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন গুনদোয়ান। ৩৩ বছর বয়সেই জার্মানি জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন। এর আগে সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল তার ঘরের মাঠে। যেখানে দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন গুনদোয়ান। জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহের ভাবনা-চিন্তায় এ সিদ্ধান্তে এসেছি যে জাতীয় দলকে বিদায় বলার এটাই সময়।’

অন্যদিকে, হঠাৎ করেই তিনি বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, এর সঠিক কারণ জানাননি। এখন অবশ্য সেই কারণটি সামনে এনেছেন তিনি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি ওলমোকে দলে টানায় হ্যান্সি ফ্লিকের দলটি আর্থিকভাবে টানাপোড়েনে পড়ে যায়। যা কাটিয়ে উঠতেই গুনদোয়ানের এমন সিদ্ধান্ত। বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল পুরোনো ঠিকানায় ফিরতে যাচ্ছেন মাঝমাঠের এই পরীক্ষিত সৈনিক। অবশেষে এক বছরের চুক্তিতে আজ ম্যানসিটিতে নতুন করে যোগ দিয়েছেন গুনদোয়ান। একইসঙ্গে ১২ মাসের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালে পেপ গার্দিওলা সিটিতে নিজের প্রথম সাইনিং করান গুনদোয়ানকে এনে। এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত সেই ঠিকানায় সাত বছর খেলেছেন তিনি। প্রথম দফায় ইতিহাদের ক্লাবটির হয়ে ৩০৪ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার, জিতেছেন ১৪টি ট্রফি। দ্বিতীয় দফায় সিটিতে ফিরে উচ্ছ্বসিত গুনদোয়ান। তিনি বলছেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটিতে আমার সাতটি বছর কেটেছিল দারুণ আনন্দে, সেটি মাঠ ও মাঠের বাইরে। পেপ গুয়ার্দিওলাকে আমি কতটা সম্মান করি-তিনি বিশ্বের সেরা ম্যানেজার এবং তার সঙ্গে প্রতিদিন কাজ করতে পারাটা একজনকে আরও ভালো খেলোয়াড় করে তোলে। সত্যি কথা বলতে, আবারও সিটির জার্সি পরতে আমার তর সইছে না।’

বার্সা ছাড়ার বিষয়ে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গুনদোয়ান লিখেছেন, ‘আমি কঠিন একটি পরিস্থিতিতে পড়েছি, কিন্তু আমার দল ছাড়ার কারণে হয়তো ক্লাব আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। এটাই আমাকে ক্লাব ছাড়ার বেদনা কিছুটা হলেও কমাবে। এবারের নতুন যাত্রায় আমি সতীর্থদের সহায়তা করতে চাই। ১২ মাসের বার্সা ক্যারিয়ারের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, বার্সেলোনা শিরোপাহীন মৌসুম কাটালেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন গুনদোয়ান। কিন্তু আর্থিক কারণে সেই তারকাকেই ছাড়তে হলো ক্লাবটির। মূলত দানি ওলমোকে বার্সায় নিবন্ধন করাতে পারছে না তারা। গুনদোয়ানের দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ক্যাম্প ন্যু’র ক্লাবটিকে হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন বার্সেলোনার সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়দের একজন।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *