জামালপুরে পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর এলাকার কয়েকটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কারণে ওই এলাকার অনেকেই রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। আতঙ্কে দিনপার করছেন তারা।
জামালপুরে পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর এলাকার কয়েকটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কারণে ওই এলাকার অনেকেই রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। আতঙ্কে দিনপার করছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে এলাকার জিঞ্জরাম ও লুকায়ঝোরার পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরের চর এলাকার প্রায় ১৬টি বাড়ি লুকায়ঝোরা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও হুমকিতে রয়েছে পাথরেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর বিজিবি ক্যাম্প, মসজিদ, মাদরাসা, শত শত বসতঘর ও কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
তারা আর জনান, ওই এলাকায় এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহায়তা পৌঁছায়নি। প্রশাসনের নিকট ত্রাণের পরিবর্তে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চান নদীপাড়ের মানুষ। স্থায়ী সমাধান না হলে, পাথরের চর গ্রামের শত শত মানুষের বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাবে। নদী ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নদী ভাঙনের শিকার আমিনুর ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই এই নদী ভাঙে, এখন পানি বাড়ার কারণে ভাঙনও বাড়ছে। ভাঙনের কারণে রাতে ঘুমাতেও পারেন না। তাদের বাড়ি ও ফসলি জমি এই ঝোরার মধ্যে চলে গেছে, উপর থেকে বৃষ্টির পানি পড়ছে, আবার ভাঙন শুরু হয়েছে, এখন অনেক কষ্টে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ফজলুল হক বলেন, বছরে দুই থেকে তিনবার এই ঝোরায় ভাঙন দেখা দেয়। এবার কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে অনেক পানি নেমে আসছে। তাদের বসতঘরের জায়গাটুকু ঝোরার মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে রাস্তায় মানবতার জীবনযাপন করছেন ও স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার জন্য তিনি জোর দাবি করেন।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের কারণে পাথরেরচর লুকায় ঝোরার গর্ভে বাড়িঘর বিলীন হওয়ার খবর শুনেছি। ভাঙন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবো।
মুত্তাছিম বিল্লাহ/এএমকে