বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-এর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৬১ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়াকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ০৪ (চার) বছর হবে। উপাচার্য পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন। তিনি উপাচার্য পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে পশু প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশু প্রজনন বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যাটল ব্রিডিং এবং কোয়ান্টিটেটিভ জেনেটিক্স বিষয়ে পোস্ট ডক সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯২ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এ ছাড়া তিনি জার্মানির হোসেনহেইম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন।
ড. ফজলুল হক ১৯৮৯ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ১৯৯৮-৯৯ সালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফেলোশিপ, ২০১৩ সালে কোচরান ফেলোশিপ, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফেলোশিপ, ১৯৯৪ সালে জেএসপিএস, ২০০৬ সালে নরম্যান ই-বারলাগ ফেলোশিপ, ১৯৯৮ সালে আইসিএআর ইয়াং সায়েন্টিস্ট স্কলারশিপ অর্জন করেন।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। রিসার্চগেটের তথ্যমতে উচ্চমাত্রার সূচকের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত তার রিসার্চ আর্টিকেলের মোট সংখ্যা ২৯৫টিরও বেশি। সাইটেশন সংখ্যা ২ হাজার ৮৭। গুগল স্কলারে তার সাইটেশন সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭, এইচ-ইনডেক্স সংখ্যা ২৬, আই১০-ইনডেক্স সংখ্যা ৮৭। তিনি সাতটি বই প্রকাশ করেছেন।
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এমজেইউ