অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি পরিকল্পিত কি না তা আমরা তদন্ত করে দেখবো। আসলে ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে খুঁড়ে খুঁড়ে নষ্ট করেছে। রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। আমরা একটা বাংলাদেশ চাই। তবে বন্যা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি পরিকল্পিত কি না তা আমরা তদন্ত করে দেখবো। আসলে ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে খুঁড়ে খুঁড়ে নষ্ট করেছে। রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। আমরা একটা বাংলাদেশ চাই। তবে বন্যা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সেনাবাহিনীর ১৬ পদাতিকের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, গণমাধ্যম কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ব্যক্তিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা বলছি সিস্টেমকে রিফর্মমেশন করব। কেউ যদি তার ঊর্ধ্বতনকে কাজ করতে না দেখেন তাহলে তিনিও করবেন না এটাই স্বাভাবিক। তাই ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সিস্টেম ঠিক করতে হবে। বর্তমান যে ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতি সেটা যাওয়ার পর আমরা সিস্টেম রিফর্মেশনে হাত দেবো। ছাত্ররা সিস্টেম রিফর্মেশনের জন্য লড়াই করেছে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য নয়।
তিনি বলেন, নোয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চল। এখানকার মানুষ বন্যার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত না। তবে উপকূলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে তারা সচেতন। তাই উদ্ধার কাজে সবার কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। আমরা চাই সবাই মিলে কাজ করবো। অন্যান্য জেলার মানুষ নোয়াখালীতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এসেছে। আপনারা তাদের সহযোগিতা করবেন।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বেগমগঞ্জের টেকনিক্যাল স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। তারপর আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন ও সরকারি সহায়তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।
ক্রীড়া উপদেষ্টা সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তার প্রথম মাসের বেতন বন্যার্তদের সহযোগিতায় দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রথম মাসের বেতন প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে দেব। সংকট মোকাবিলায় সকলে এগিয়ে আসুন।’
এমএ