ভারী বৃষ্টি ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ২০ লাখের বেশি মানুষ। এসব মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ভারী বৃষ্টি ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ২০ লাখের বেশি মানুষ। এসব মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় পানিবন্দি মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে এনে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তারা। বিশেষ করে প্রভাবশালীদের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এসব বাঁধ কেটে দেয় সেনাবাহিনী। ফলে লোকালয় থেকে পানি নামতে শুরু করে।
কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা মো. শিহাব ইমতিয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অবৈধভাবে বাধ দিয়ে মাছের ঘের করায় পানি নামছিল না। এতে করে মানুষ কষ্ট পাচ্ছিলো। আমরা বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানাই। তারা অবৈধ বাধ কেটে দিয়ে প্রবাহ স্বাভাবিক করে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। তারা উদ্ধার ও সহায়তার মাধ্যমে যেভাবে ভূমিকা রাখছে নোয়াখালীবাসী তা স্মরণ করবে।
সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্প ইনচার্জ লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে নোয়াখালীর বানভাসি মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনো খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
হাসিব আল আমিন/এমএ