‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা একক কোনো ব্যক্তি নয়, অনেকগুলো ব্যক্তির সমষ্টি’

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা একক কোনো ব্যক্তি নয়, অনেকগুলো ব্যক্তির সমষ্টি’

শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর সেরা স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা একক কোনো ব্যক্তি নয়। অনেকগুলো ব্যক্তির সমষ্টি ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তার পেছনে বিশাল কর্পোরেট হাউজ আছে। এর পেছনে ছিল এই কর্পোরেট হাউজ নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া হাউজ। তারা নিয়মিত তার গুণগান প্রচার করত।

শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর সেরা স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা একক কোনো ব্যক্তি নয়। অনেকগুলো ব্যক্তির সমষ্টি ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তার পেছনে বিশাল কর্পোরেট হাউজ আছে। এর পেছনে ছিল এই কর্পোরেট হাউজ নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া হাউজ। তারা নিয়মিত তার গুণগান প্রচার করত।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মাহিন সরকার। জয়পুরহাটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিকদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। যদি রাষ্ট্র সংস্কার না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারাও ডিক্টেটর (স্বৈরশাসক)  হয়ে যাবেন। এ জায়গাগুলো ঠিক করে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে আমাদের সংবিধান পুনর্লিখন করতে হবে। আইনের অনেক ফাঁক-ফোকর, জটিলতা আছে। অনেক মানুষ কিন্তু সহজ-সরল, তারা কাগজের ভাষা বোঝেন না। এই জটিলতা থেকে তারা মুক্তি চান।

সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহত কয়েকজন বক্তব্য দেন। তারা বলেন, এ আন্দোলনে এত রক্ত কেন ঝরলো? এটি কেন হলো? আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও বিচার দাবি করছি।

এসময় এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ৪ আগস্ট আমি গুলিবিদ্ধ হই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাটের সমন্বয়কেরা কেউ আমার খোঁজ নেননি। দরিদ্রতা আমার পিছু ছাড়ে না। আমার পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ। তাই শহীদ ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়াসহ তাদের পরিবারের প্রতি সুনজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মোছা. রিতার ছোট ভাই রোকন ইসলাম বলেন, আমার আপু মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার অনেক ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করে বড় হয়ে ভালো কিছু করার। আমি বড় হয়ে বোনের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে চাই। তাই আমার পড়াশোনার খরচ ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের কাছে আবেদন করছি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর দায়িত্বে থাকা সমন্বয়ক কুররাতুল আইন কানিজ, সাইফুল ইসলাম, ইফতেখার আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, ফয়সাল আহমেদ, ফাতিন মাহতি, সাদিকুল ইসলাম, ঐশিক মন্ডল ও ইমাম হুসাইন।

চম্পক কুমার/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *