পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে কন্টেন্ট তৈরির অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন মুসল্লিরা। রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত আজিজনগরের বেরং নদী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে কন্টেন্ট তৈরির অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন মুসল্লিরা। রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত আজিজনগরের বেরং নদী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, হাসিবুল হক চিশতি (৬২), জমির উদ্দিন (৪২) ও হযরত আলী (৩০)। এদের মধ্যে হাসিবুল হক চিশতি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার কেদারনগর (মন্ডলপাড়ার) মৃত সোনা উল্লাহ্ মন্ডলের ছেলে, জমির উদ্দিন তেঁতুলিয়া উপজেলার টাইয়াগছ গ্রামের মৃত.আব্দুস সালামের ছেলে ও হযরত আলী একই উপজেলার ব্রহ্মতোল গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
জানা যায়, আটক হওয়া হাসিবুল হক চিশতি দুই যুবককে নিয়ে তেঁতুলিয়ার সদর ইউনিয়নের আজিজনগর এলাকা সীমান্ত প্রবাহিত বেরং নদীর পাশে ধর্ম নিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করছিলেন। তিনি কন্টেন্টে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করে কথা বলছিলেন। বিষয়টি আশেপাশে জানাজানি হলে জয়নাল আবেদীনসহ স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তিনজনকে আটকের পরপরই রাত ৮টার দিকে ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির শাস্তির দাবিতে মুসল্লিরা তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আটককৃতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বক্তব্য রাখেন তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজার জামে মসজিদের ইমাম মোখলেসুর রহমান, বিএনপির উলামা দলের সভাপতি সোহরাব আলী, জামায়াতের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, খেলাফত মজলিসের সুলতান, হেফাজত ইসলামের মুফতি বেলাল, হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম মাসুদ করিমসহ অনেকে। বক্তব্যে তারা বলেন, আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম ও মহান আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।
তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, বিকেলে জানতে পারলাম হাসিবুল হক নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে আল্লাহ ও তার রাসুলের (সা.) নামে কটূক্তি করেছে। এ সময়ের মধ্যে আমার মোবাইলে একটি ভিডিও পাঠানো হলে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল হিসেবে বুঝতে পারলাম এটি বেরং নদীর পাড়ে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তারা ভিডিও কন্টেন্ট বানাচ্ছে। সেখানে তাদেরকে ধরে আমরা পুলিশের কাছে তুলে দেই।
তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাদ করে জানতে পেরেছি তারা ভিন্ন তরিকতের লোক। তারা সে তরিকত অনুযায়ী ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে থাকেন। তবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে দোয়েল/আরকে