রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ঘরোয়া ফুটবলের চলতি মৌসুমে দলবদল শেষ হচ্ছে ১৯ আগস্ট। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো লিগে অংশগ্রহণ অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ঘরোয়া ফুটবলের চলতি মৌসুমে দলবদল শেষ হচ্ছে ১৯ আগস্ট। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো লিগে অংশগ্রহণ অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
দলবদল শেষ হওয়ার আর দিন চারেক বাকি আছে। এখনো কোনো ক্লাব চিঠি দিয়ে দলবদলে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি বাফুফেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে ফুটবলাঙ্গনের জোর গুঞ্জন, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এই মৌসুমে অংশগ্রহণ করবে না।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেডের কোনো কর্মকর্তা এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেননি। তবে এবার ফুটবল মৌসুমে শেখ জামাল অংশগ্রহণ করবে না এ রকম সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব অনেক ফুটবলারকে চূড়ান্ত করেছিল। এরপরও অংশগ্রহণ না করা খানিকটা বিস্ময়ের।
আশির দশক থেকেই ফুটবলে অংশ নেয় ধানমন্ডি ক্লাব। ২০১০ সালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড নামকরণ হয়। নিচের স্তরে থাকলেও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শেখ জামালকে সরাসরি প্রিমিয়ারে খেলার সুযোগ দেন। ক্লাবটি ফুটবল লিগে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ক্লাবের নাম আবার পরিবর্তনের আলোচনা চলছে। সেক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক এক্সচেন্জে আবেদন করতে হবে, এরপর বাফুফের অনুমতি নানা প্রক্রিয়া ও আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। যা ১৯ আগস্টের মধ্যে সম্ভব নয়। বাফুফে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল দলবদলের সময় বাড়াতে। ফিফা সেই মেয়াদ না বাড়ানোয় আরো সংকট বেড়েছে। শেখ জামালের মতো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রও ফুটবল থেকে সরতে পারে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। যদিও বাফুফে এখনো কোনো চিঠি পায়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরপর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। বেশ সংকটের মধ্যে পড়া ক্লাবটি সামনে ক্রিকেটেও থাকে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এজেড/এইচজেএস