নোয়াখালীর নতুন জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।
নোয়াখালীর নতুন জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।
এ সময় নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
জানা যায়, গত ২০ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদকে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ইতোপূর্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন)-২৪ তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
দায়িত্ব নিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ রাষ্ট্রের এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নোয়াখালী ঐতিহ্যবাহী জেলা। আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই জেলার উন্নয়নে কাজ করে যাবো। সবমিলিয়ে জেলার সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে চাই।
এদিকে সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানকে বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাইল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা বিনতে আমিন, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আখিনূর জাহান নীলাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন নোয়াখালীতে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার কাছে সময়গুলো সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। নোয়াখালীবাসীর জন্য একটা মায়া কাজ করছে। আমি কখনো স্মৃতিময় নোয়াখালী কখনো ভুলব না। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে দেওয়ান মাহবুবুর রহমানকে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের দীর্ঘ আড়াই বছরে অন্যান্য কাজের সঙ্গে তিনি অনেক মানবিক কাজ করেছেন। বিনামূল্যে চাকরি, বিধবার ঘর নির্মাণ, প্রতিবন্ধীর দায়িত্ব, অর্থের অভাবে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায়িত্ব নেওয়াসহ অসংখ্য কাজ করেছেন।
হাসিব আল আমিন/এমএ