দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিএনপির নোয়াখালী জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানের নিকট উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগে ভূমি দখল, ঘাট বাণিজ্য, অবৈধভাবে অন্যের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখল, মোটরসাইকেল শোডাউনের নামে তেলের টাকা নেওয়া এবং সাধারণ মানুষের থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে কয়েকটি জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোয়াখালী জেলার এক বিএনপি নেতা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, দখল, ঘাট বাণিজ্য, অবৈধভাবে অন্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, দোকান পাট ভাঙচুর, বাড়িতে হামলার অভিযোগ থাকায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। যথাযথ জবাব দিতে না পারলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি৷ ফলে তার বক্তব্য যুক্ত করা যায়নি।
অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ যারা সাধারণ মানুষের আস্থা এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে আনোয়ার হোসেনকে প্রাথমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার লিখিত জবাবের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
হাসিব আল আমিন/আরকে