ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আম আদমি পার্টির (আপ) মন্ত্রী অতীশি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে দিল্লির গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সাথে বৈঠকের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করার কথা রয়েছে। তার পদত্যাগের পর পর দিল্লির মন্ত্রী অতীশি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আম আদমি পার্টির (আপ) মন্ত্রী অতীশি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে দিল্লির গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সাথে বৈঠকের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করার কথা রয়েছে। তার পদত্যাগের পর পর দিল্লির মন্ত্রী অতীশি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আম আদমি পার্টির (আপ) নীতি নির্ধারণী পরিষদের নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতীশির নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে দলের নেতারা তার প্রতি সমর্থন জানান। আম আদমি পার্টির বিধায়কদের বৈঠকে দলটির নেতা দিলীপ পান্ডে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতীশির নাম প্রস্তাব করেন। এ সময় দলের সদস্যরা সমর্থন জানানোয় এতে রাজি হয়ে যান অতীশি। পরে দলটির নতুন নেতা নির্বাচিত করা হয় তাকে।
বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন অতীশি। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন।
দিল্লির বহুল আলোচিত আবগারি (মদ) মামলায় উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর মন্ত্রী হন ৪৩ বছর বয়সী অতীশি। কেজরিওয়াল ও সিসোদিয়া কারাগারে থাকাকালীন দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও গণমাধ্যমে দলের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন তিনি। কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর দিল্লির সরকারের বিভিন্ন কাজ অতীশি ও অন্য মন্ত্রীদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
এর আগে, গত রোববার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দিয়ে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, দু’দিন পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৬ মাস কারাগারে ছিলেন কেজরিওয়াল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী। কারামুক্তির দু’দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
পরে রোববার দুপুরে দলীয় বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যতদিন না জনতার রায় পাচ্ছি, ততদিন আমি এই আসনে আর ফিরব না। কয়েক মাস পরেই দিল্লিতে ভোট রয়েছে। আদালতে আমি বিচার পেয়েছি। এ বার জনতার আদালতে বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমি। মানুষ যে দিন চাইবে, সে দিনই আমি আবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরব।”
একইসঙ্গে দিল্লিবাসীর উদ্দেশেও কেজরিওয়ালের অনুরোধ, যদি মানুষ তাকে নির্দোষ বলে মনে করেন, যদি মানুষ ভাবেন তিনি দিল্লির জন্য কাজ করেছেন, তবে তাকে যেন পুনরায় ভোট দেওয়া হয়।
দিল্লির বিধানসভার মেয়াদ রয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। অতীশি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন। দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের দাবি, আগামী নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের ভোটের সঙ্গেই দিল্লিতে নির্বাচন আয়োজন করা হোক। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে ভোটের আগে পর্যন্ত যেটুকু সময় পাবেন, ওই সময়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএস