ঝাড়খণ্ডের মুসলিমদের ১১ শতাংশই বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারী

ঝাড়খণ্ডের মুসলিমদের ১১ শতাংশই বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারী

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বসবাসরত মুসলিমদের ১১ শতাংশই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপির এমপি নিশিকান্ত দুবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন তিনি।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বসবাসরত মুসলিমদের ১১ শতাংশই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপির এমপি নিশিকান্ত দুবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার এই এমপি বলেন, “১৯৫১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ ছিল মুসলিম। এখন এই হার বেড়ে পৌঁছেছে ২৪ শতাংশে। ভারতজুড়ে এই সময়সীমার মধ্যে মুসলিমদের হার বেড়েছে ৪ শতাংশ কিন্তু আমার সাঁওতাল পরগনায় এ হার বেড়ে বর্তমানে ১৫ শতাংশ। এই ১৫ শতাংশের মধ্যে ১১ শতাংশই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকার তাদের গ্রহণ করেছে।”

সামনে ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এই অনুপ্রবেশকারীরা প্রভাব রাখতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে কিছু নথির ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। নথিগুলো ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে সতর্কবার্তা সংক্রান্ত।

এক্সপোস্টে নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আদিবাসীরা আমাদের গর্ব। এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের আদিবাসী সংস্কৃতি ধ্বংস করছে, আমাদের আদিবাসী বোন ও মেয়েদের ছলে-বলে কৌশলে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে, ঝাড়খণ্ডকে লুট করছে। শুধুমাত্র ভোট ব্যাংকের স্বার্থে কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন জেএমএম আমাদের সাঁওতাল পরগনাকে বাংলাদেশে রূপান্তরিত করছে।”

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা অমিত শাহ একাধিক জনসভায় এ অভিযোগ তুলে ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন জেএমএম সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *