ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এই মামলা থেকে তাকে বাদ দিতে বাদী খিলগাঁও থানায় আবেদন করেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এই মামলা থেকে তাকে বাদ দিতে বাদী খিলগাঁও থানায় আবেদন করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এই হত্যা চেষ্টা মামলায় পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, বাদী বাকের সাহেব আজ আমার কাছে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে তার মামলার এজাহারে জেড আই খান পান্নাকে ভুলবসত আসামি করেছেন উল্লেখ করে তার নাম প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি আবেদনটি গ্রহণ করেছি, সে অনুযায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, আহাদুল ইসলামের বাবা মো. বাকের বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্নারসহ মোট ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দেখছি আমরা।
এদিকে মামলার এজাহারে সূত্রে, গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্র জনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন খ্যাতিমান আইনজীবী জেড আই খান পান্না। জেড আই খান পান্না আন্দোলনকালিন আটক ছাত্র সমন্বয়কদের ছাড়াতে আইনি লড়াই চালান। প্রচণ্ড সমালোচনা করেন শেখ হাসিনার সরকারের।
এমএসি/এমএসএ