জামালপুর জেলা কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, অগ্নিসংযোগ ও ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টার ঘটনায় ছয়জন কয়েদি নিহত হয়েছেন। এ সময় জেলারসহ ১৪ জন কারারক্ষী ও পাঁচজন কারাবন্দি আহত হয়েছেন।
জামালপুর জেলা কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, অগ্নিসংযোগ ও ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টার ঘটনায় ছয়জন কয়েদি নিহত হয়েছেন। এ সময় জেলারসহ ১৪ জন কারারক্ষী ও পাঁচজন কারাবন্দি আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জেলার আবু ফাত্তাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কয়েদিরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার ফহিমের ছেলে আরমান, মাসুদের ছেলে শ্যামল, নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম, ফজলে রাব্বি বাবু, রায়হান ও রাহাত। এর মধ্যে ফজলে রাব্বি বাবু, রায়হান ও রাহাতের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
আহত কারারক্ষীদের মধ্যে রুকনুজ্জামানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহত কারারক্ষীরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কয়েদিরা বের হওয়ার জন্য বিদ্রোহ করে অগ্নিসংযোগ ও একটি ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন। বন্দি আসামিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। তাদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করে। তারা দুই পক্ষ মারামারি শুরু করে। পরে ওই বিদ্রোহী গ্রুপ প্রথম গেট ভেঙে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্বিতীয় গেট খুলে দেওয়ার জন্য জেলার আবু ফাতাহসহ করারক্ষীদের ওপর আক্রমণ করে এবং গেট খুলে দেওয়ার জন্য বলে। তখন তিনি গেট খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিদ্রোহীরা তার ওপর আক্রমণ এবং মারধর করে। পরে বন্দিদের একটি পক্ষের সহায়তায় জেলার কারাগার থেকে বের হতে পারলেও ১০ জন কারারক্ষী আটকা পড়েন। এ সময় বিদ্রোহী বন্দিরা গেটে আক্রমণ করেন। এ সময় কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারারক্ষীদের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে অবস্থান নেন। প্রায় ১০ ঘণ্টা গোলাগুলির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
জেলার আবু ফাত্তাহ বলেন, এ ঘটনায় ছয়জন বন্দি নিহত এবং ১৪ জন কারারক্ষী ও পাঁচজন কারাবন্দি আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এমজেইউ