স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ‘দোসর’ অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মাহফুজার রহমানকে অবশেষে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ‘দোসর’ অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মাহফুজার রহমানকে অবশেষে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে ডা. মো. মাহফুজার রহমানের স্থলে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি এর আগে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বদলি-পদায়নকৃত এসব কর্মকর্তা ১০ নভেম্বরের মধ্যে বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় তাদেরকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গত ২৯ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাধ্যক্ষ করা হয় সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে। পরদিন বুধবার (৩০ অক্টোবর) থেকেই ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন রমেকের চিকিৎসক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওইদিন তারা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তৎকালীন উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান। এ ছাড়া, পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট বদলাতে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসককে চাপ দিয়েছিলেন তিনি ও সেই সময়ের অধ্যক্ষ। তাছাড়া ডা. মাহফুজ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেরও (স্বাচিপ) নেতৃত্ব দিয়েছেন।
টিআই/এমজে