গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এরপর গাজা শহরে দুটি ইসরায়েলি হামলায় ১২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার দুই শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ গাজার রাফাতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার পর তাদের দল দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ গাজা শহরের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক নারী এবং দুই মেয়ে শহীদ হয়েছেন’। সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলায় আরও সাত ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্যান্যরা আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, একটি যুদ্ধবিমান আজাম পরিবারের একটি বহুতল বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। যার ফলে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভেতরে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ও আহত ব্যক্তিদের সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

মূলত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ হাজার ২৭২ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৯৫ জন শিশু এবং ১১ হাজার ৩৭৮ জন নারী। এছাড়া ৯৫ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *