ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অসুস্থ বাবাকে দেখতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন পুলিশ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম (৪৫)।
নিহত শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রাজারবাগ পুলিশ লাইনে উপপরিদর্শক (এস আই) পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সাতাশিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তবে তারা বর্তমানে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বসবাস করেন।
শরিফুলের বাবা নজরুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং পুলিশের রিজার্ভ পরিদর্শক (আরআই) ছিলেন। নজরুল ইসলামের তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শরিফুল বড়। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা নামক স্থানে এ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ বাবাকে দেখতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার মোটরসাইকেলটি এক্সপ্রেসওয়ের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুল্লাহ হেল বাকি ঢাকা পোস্টকে জানান, ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন এসআই শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঢাকা পোস্টকে জানান, কাশিয়ানীর আদি বাসিন্দা এই পরিবোরের সদস্যরা বর্তমানে আলফাডাঙ্গায় বসবাস করছেন। শরিফুলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুপুরেই মারা যান। তবে ছেলেকে বাবার মৃত্যুর খবর না জানিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ বলে দ্রুত তাকে বাড়ি আসতে বলা হয়। এরপর তিনি মোটরসাইকেলে বাড়িতে আসছিলেন।
জহির হোসেন/এনএফ