কোথায় হামলা হবে ইরানকে আগেই জানিয়ে দেয় ইসরায়েল

কোথায় হামলা হবে ইরানকে আগেই জানিয়ে দেয় ইসরায়েল

শনিবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তবে এই হামলার কারণে যেন উত্তেজনা না বাড়ে সেজন্য ইরানকে আগে থেকেই ইসরায়েল হামলার পরিকল্পনা জানিয়ে দেয়।

শনিবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তবে এই হামলার কারণে যেন উত্তেজনা না বাড়ে সেজন্য ইরানকে আগে থেকেই ইসরায়েল হামলার পরিকল্পনা জানিয়ে দেয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস তিনটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ইরানের কাছে ইসরায়েল জানায় তারা কোথায় এবং কোন স্থাপনায় হামলা চালাবে।

সংবাদমাধ্যমটিকে একজন বলেছেন, “ইসরায়েলিরা ইরানিদের কাছে আগেই পরিষ্কার করে দেয় তারা মূলত কীসের ওপর হামলা চালাতে যাচ্ছে এবং কীসের ওপর হামলা চালাবে না।”

দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানে ব্যালিস্টিক মিসাইল কারখানা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, এসব মিসাইল দিয়েই গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় হামলা চালিয়েছিল তেহরান।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েল ইরানকে হামলার পরিকল্পনা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি এই হামলার পর ফের পাল্টা হামলা চালানো হয় তখন ইসরায়েলও আবার হামলা চালাবে। যেটির মাত্রা হবে তীব্র এবং শক্তিশালী।

তবে এই হামলার জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে তেহরান। আধা সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির একটি সূত্র। পাল্টা হামলা চালানোর জন্য ইরান প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, “কোনো সন্দেহ নেই ইরানের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব ইসরায়েল পাবে।”

শনিবার সূর্যের আলো ফোটার আগে রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান সেখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে রাজধানীর পশ্চিমদিকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলা প্রতিরোধে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের শব্দ এগুলো।

গত ১ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। সাবেক হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং চৌকস বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আব্বাস নিলফোরোসানকে হত্যার জবাব দিতে এসব মিসাইল ছোড়ে তেহরান। এতে লক্ষ্য করা হয় দখলদার ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটি। ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় ওই ভূখণ্ডকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে অভিহিত করে থাকে ইরান।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, তাসনিম নিউজ

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *