রোনালদো নাজারিও, রোনালদিনহো, রিভালদো, মার্সেলো, কাকা, নেইমার… যুগে যুগে এল-ক্লাসিকো মাতিয়ে রাখা ব্রাজিলিয়ান তারকার অভাব ছিল না কোনোকালেই। মাঝে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার এই ধ্রুপদী লড়াইটার আলো অনেকটাই নিজেদের করে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু রিয়াল-বার্সা দ্বৈরথে ব্রাজিলিয়ান তারকাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ বহুদিন ধরে।
রোনালদো নাজারিও, রোনালদিনহো, রিভালদো, মার্সেলো, কাকা, নেইমার… যুগে যুগে এল-ক্লাসিকো মাতিয়ে রাখা ব্রাজিলিয়ান তারকার অভাব ছিল না কোনোকালেই। মাঝে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার এই ধ্রুপদী লড়াইটার আলো অনেকটাই নিজেদের করে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু রিয়াল-বার্সা দ্বৈরথে ব্রাজিলিয়ান তারকাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ বহুদিন ধরে।
ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ফিক্সচারটাই সম্ভবত অপেক্ষা করছে শনিবারের রাতে। বাংলাদেশ সময়ে শনিবার দিন পেরিয়ে রাত যখন একটা তখন স্প্যানিশ ফুটবলের ধ্রুপদী লড়াইয়ে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং এফসি বার্সেলোনা। মাদ্রিদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার ১১তম ম্যাচডেতে দেখা হবে দুই প্রতিপক্ষের।
সময়ের আবর্তনে এল ক্লাসিকোয় সেই তারার মেলায় ভাটা নামলেও আবেদন রয়ে গিয়েছে একইরকম। বিগত কয়েক বছরে দুই দলের দেখায় রিয়াল মাদ্রিদই ছিল পরিস্কার ফেভারিট। তবে দৃশ্যপট বদলেছে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার ভয়ানক ফুটবলে। বলা চলে, ২০১৮ সালের পর এবারই এল-ক্লাসিকো ফিরে পেয়েছে তার হারানো গৌরবের সময়টা।
আর তাতে ব্যবধান গড়ে দিতে প্রস্তুত দুই ব্রাজিলিয়ান তারকা। বার্সেলোনার হয়ে ডানপ্রান্তে থাকছেন উইঙ্গার রাফিনিয়া। লিডস ইউনাইটেড থেকে বড় প্রত্যাশা নিয়ে ব্লুগ্রানাদের হয়ে নাম লেখান। কিন্তু দুই মৌসুম শেষে দলই ছাড়ার উপক্রম হয়েছিল। সেখান থেকেই চলতি মৌসুমে হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনার চোখের মণি হয়ে উঠছেন এই সেলেসাও তারকা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ বছর পর বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরে রেখেছে বার্সা। হ্যাটট্রিক করেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া। রাফিনিয়াকে রীতিমত বদলে দিয়েছেন জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। এই মৌসুমে ডানপ্রান্তে কাতালুনিয়ার ভরসা তিনি। লিগে ১০ ম্যাচের ৯টিতেই ছিলেন শুরুর একাদশে। করেছেন ৫ গোল। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৫টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে ৯ গোল তার। অ্যাসিস্ট ৬ টি।
তবে রাফিনিয়া যদি ডানপ্রান্ত থেকে ভয় ছড়াতে পারেন, তবে রিয়ালের বামপ্রান্তটাও হয়ত এরচেয়ে কম কিছু নয়। বিগত ৩-৪ মৌসুম ধরেই বামপ্রান্তে বিশ্বের সেরা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। রাফিনিয়ার মতো তিনিও মাদ্রিদের শুরুর দিনগুলোতে ছিলেন ফ্লপ।
কিন্তু তাকে পুরো বদলে দিয়েছেন কার্লো অ্যানচেলত্তি। ইতালিয়ান এই কোচের অধীনে বহু তরুণই হয়েছেন ফুটবলের বড় তারকা। তারই সবশেষ সংযোজন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এবারের লিগে করেছেন ৫ গোল। অ্যাসিস্ট চারটি। আর সব প্রতিযোগিতায় মৌসুমে আছে ৮ গোল। করিয়েছেন ৫ টি। ব্রাজিলের এই তারকার কঠোর সমালোচকও মেনে নেবেন– লেফট উইংইয়ে সময়টা এখন ভিনিসিয়াসের।
রাফিনিয়ার মতো ভিনি জুনিয়রও হ্যাটট্রিক পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ম্যাচে। কাকতালীয়ভাবে ভিনিসিয়াসের হ্যাটট্রিকও এসেছে জার্মান এক ক্লাবের বিপক্ষেই। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে রিয়াল ৫-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ভিনির কল্যাণেই।
মাঠের ৯০ মিনিটের বিচারে দুজনেই সমানে সমান থাকবেন সেটা সত্য। উইঙ্গার রাফিনিয়া দলের প্রয়োজনে নাম্বার টেন রোলে প্লে-মেকিং করতে পারেন দারুণভাবে। গোলমুখে সাফল্য পেতে লামিনে ইয়ামাল এবং রবার্ট লেভান্ডফস্কির সঙ্গে তার বোঝাপড়ায় থাকবে বাড়তি নজর। আর ভিনিসিয়াস দরকারে এমবাপের সঙ্গে গড়তে পারেন সময়ের সেরা অ্যাটাকিং ডুয়ো। আর তাদের বলের যোগান দিতে লুকা মদ্রিচ কিংবা জ্যুড বেলিংহ্যাম তো আছেনই।
জেএ