আল্লাহ তায়ালা নবীদের মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন। নবীরা মানুষকে আলোর পথে আহ্বান করেছেন। তাঁদের সত্য ও সঠিক পথ দেখিয়েছেন। ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই যুগের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও আবিষ্কারের উন্নত মাধ্যমগুলো তাঁর উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন, নিজেরা যেই মাধ্যম ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন নবীর তাদের যুগের নব আবিষ্কৃত বস্তুর ইতিহাস রক্ষিত আছে।
আল্লাহ তায়ালা নবীদের মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন। নবীরা মানুষকে আলোর পথে আহ্বান করেছেন। তাঁদের সত্য ও সঠিক পথ দেখিয়েছেন। ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই যুগের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও আবিষ্কারের উন্নত মাধ্যমগুলো তাঁর উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন, নিজেরা যেই মাধ্যম ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন নবীর তাদের যুগের নব আবিষ্কৃত বস্তুর ইতিহাস রক্ষিত আছে।
আমরা কলম দিয়ে লেখিলেখি করি। প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে কলমের বিকল্প অনেক কিছুই আবিষ্কার হয়েছে। তবে কলমের প্রয়োজনীয়তা একটু কমেনি। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কলম আবিষ্কার করেছিলেন যিনি তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী ছিলেন। তাঁর নাম হজরত ইদরিস আ.।
মানুষের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম কলমের সাহায্যে লেখা ও বস্ত্র সেলাই আবিষ্কার করেন। তাঁর আগে মানুষ সাধারণত পোশাকের পরিবর্তে জীবজন্তুর চামড়া ব্যবহার করত। ওজন ও পরিমাপের পদ্ধতিও সর্বপ্রথম তিনি আবিষ্কার করেন এবং অস্ত্রশস্ত্রের আবিষ্কারও তাঁর আমল থেকেই শুরু হয়। —(বাহরে মুহীত, কুরতুবী, মাযহা রূহুল মা’আনী)
হজরত ইদরিস আ. আদম আ. থেকে মুহাম্মদ সা. পর্যন্ত বংশ পরম্পরা ধরে রাখার অন্যতম স্তম্ভ। তিনি আদম ও শীছ আ.-এরপর প্রথম ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা নবুয়ত দিয়েছিলেন।
আল্লাহ তায়ালা তাঁকে চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নিয়েছিলেন।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমাকে আকাশে উঠানো হয়েছিল মি’রাজের রাত্ৰিতে আমি ইদরীসকে চতুর্থ আসমানে দেখেছি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৫৭)
পবিত্র কোরআনে তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে—
وَ اذۡكُرۡ فِی الۡكِتٰبِ اِدۡرِیۡسَ ۫ اِنَّهٗ كَانَ صِدِّیۡقًا نَّبِیًّا وَّ رَفَعۡنٰهُ مَكَانًا عَلِیًّا
আর স্মরণ কর এই কিতাবে ইদরীসকে। সে ছিল পরম সত্যনিষ্ঠ নবী। আমি তাকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছিলাম। (সূরা মারইয়াম, আয়াত : ৫৬-৫৭)