মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে সরকার পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে শরীয়তপুরে প্রশাসনের যৌথ সভায় আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে সরকার পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে শরীয়তপুরে প্রশাসনের যৌথ সভায় আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণবিষয়ক অবহিত করণ সভা মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, এ বছর মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে এখনও পর্যন্ত নদীতে কোনো জেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নামতে পারেননি। জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও নৌ পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে এখন পর্যন্ত সফলভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে ইলিশ।
আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন আরো কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এ বছর নৌ পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে সহযোগিতা করা হবে। নৌপুলিশের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে, যে কোনো মূল্যে মা ইলিশকে রক্ষা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিন বলেন, নদী পথে মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনকে বিভিন্ন দিক থেকে বেগ পেতে হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ করার অভিযান সফলভাবে করতে পেরেছে প্রশাসন। মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথভাবে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করলে সফলভাবে মা ইলিশ সংরক্ষণ করা যাবে। সকলে যৌথভাবে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, মৎস্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. হাদিউজ্জামানসহ অন্যান্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা প্রমুখ।
সাইফ রুদাদ/এএমকে