এবার ‘ছাদবন্ধ’ বার্নাব্যুতে রিয়ালকে কাঁদালো এসি মিলান 

এবার ‘ছাদবন্ধ’ বার্নাব্যুতে রিয়ালকে কাঁদালো এসি মিলান 

কথা ছিল, ছাদবন্ধ স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষকে নিজেদের সমর্থকদের গলার আওয়াজে নাস্তানাবুদ করবে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফলাফল উল্টো এলো বুমেরাং হয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার পর ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানও ছাদবন্ধ বার্নাব্যুতে এনে দিয়েছে রাজ্যের নীরবতা। মিলানের কাছে ৩–১ গোলে হেরেছে তারা। ঘরের মাঠে রিয়ালের টানা দুই হার, কিছুটা অবিশ্বাস্য বলতেই হয়। 

কথা ছিল, ছাদবন্ধ স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষকে নিজেদের সমর্থকদের গলার আওয়াজে নাস্তানাবুদ করবে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফলাফল উল্টো এলো বুমেরাং হয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার পর ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানও ছাদবন্ধ বার্নাব্যুতে এনে দিয়েছে রাজ্যের নীরবতা। মিলানের কাছে ৩–১ গোলে হেরেছে তারা। ঘরের মাঠে রিয়ালের টানা দুই হার, কিছুটা অবিশ্বাস্য বলতেই হয়। 

গত কয়েক দিন ধরেই রিয়াল মাদ্রিদের পরিবেশ খুব একটা সুখকর নয়। লা লিগায় ‘এল ক্লাসিকো’য় বার্সেলোনার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্যালন ডি’ অর নিয়ে বেশ একটা নাটকীয়তা হয়ে গেল। এরপরেই এসি মিলান যেন দুর্ভাগ্যটা বাড়িয়েছে তাদের। গতবারে পুরো মৌসুমে মাত্র ২ ম্যাচ হারা রিয়াল, এবারে ১০ দিনের ব্যবধানেই হেরেছে দুই ম্যাচ। সবমিলিয়ে মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয়  হার। 

এসি মিলান কোচ পাওলো ফনসেস্কা রিয়ালকে হারিয়েছেন কাউন্টার অ্যাটাক আর প্রেসিং ফুটবলে। পুরো ম্যাচেই এলোমেলো আক্রমণ করেছে রিয়াল। সে তুলনায় এসি মিলান ছিল অনেকটাই গোছানো। স্রোতের বিপরীতে ম্যাচের প্রথম গোলটা মিলানই করেছে। ১২ মিনিটের মাথায় মাদ্রিদকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় মিলান। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলকে হেডে জালে জড়িয়ে অতিথিদের এগিয়ে দেন মালিক চিয়াও। এর আগে অবশ্য কিলিয়ান এমবাপে গোলের দারুণ দুই সুযোগ মিস করেন। 

 

এমবাপে অবশ্য পুরো ম্যাচেই মিস করেছেন একের পর এক সুযোগ। কখনো বাইরে মেরেছেন। কখনো তাকে ফিরিয়েছেন জাতীয় দলের সতীর্থ মাইক মেনিয়ঁ। পুরো ম্যাচে বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দেয়া এসি মিলান গোলরক্ষক একবারই পরাস্ত হয়েছেন। সেটা ম্যাচের ২৩ মিনিটের স্পটকিক থেকে। মেনিয়ঁকে বোকা বানিয়ে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। 

৩৮ মিনিটে ফের মাদ্রিদকে ফের হতাশায় ভাসিয়ে এগিয়ে যায় মিলান। রিয়ালের ভুলেই আক্রমণটি গড়েছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। শুরুতে অবশ্য রাফায়েল লেয়াওয়ের শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। তবে ফিরতি বলে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান আলভারো মোরাতা। এই গোলে রিয়ালের রক্ষণ পুরোপুরি আনমার্কড রেখেছিল মিলানের নাম্বার সেভেনকে। 

বিরতির পর দুটি পরিবর্তন আনে রিয়াল। চুয়ামেনির জায়গায় আসেন ব্রাহিম দিয়াজ এবং ফেদে ভালভের্দের জায়গায় আসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। দুই পরিবর্তন নিয়ে আক্রমণাত্মক শুরু করলেও তাতে এসি মিলানের রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি রিয়াল। বরং এমবাপে একের পর এক মিসে বাড়িয়েছেন দলের হতাশা। 

রিয়ালের একের পর এক মিসের শাস্তিটাই হয়ত দিয়েছেন রাফায়েল লেয়াও। একবার তার হেড দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন লুনিন। তবে পরেরবার নিজে বক্সে ঢুকে গেলেও পাস দেন তিজানি রেইনডার্সকে। এবারেও রিয়াল রক্ষণভাগ মার্ক করতে পারেনি এগিয়ে আসা খেলোয়াড়কে। ফলাফল ৩-১।  এর মধ্যে আন্তোনিও রুদিগারের গোল করলেও সেটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। শেষ পর্যন্ত টানা দুই হারেই শেষ হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর রাত। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *