রবি মৌসুমে প্রণোদনার তালিকায় নেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

রবি মৌসুমে প্রণোদনার তালিকায় নেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে কয়েক দফায় টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী না হলেও নিম্নাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও তীব্র নদী ভাঙনে ফসলি জমির পাশাপাশি বসতভিটাও হারিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে রংপুর জেলায় চলতি রবি মৌসুমে ২৮ হাজার ২০০ প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।

চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে কয়েক দফায় টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী না হলেও নিম্নাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও তীব্র নদী ভাঙনে ফসলি জমির পাশাপাশি বসতভিটাও হারিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে রংপুর জেলায় চলতি রবি মৌসুমে ২৮ হাজার ২০০ প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব বলছে, বন্যায় ৩০ দশমিক ৮২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৫৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, বন্যায় বাদাম, মরিচ এবং আগাম আলুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। সেটি বিবেচনায় রেখেই পুনর্বাসনের দাবি করছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তারা পাননি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার মেট্রোপলিটন এলাকাসহ আট উপজেলায় গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ আবাদ বাড়াতে সহায়তা পাচ্ছেন ২৮ হাজার ২০০ কৃষক।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম চলমান। উপজেলাভিত্তিক বিভাজন করে তালিকাভুক্ত কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়েছে। যে ফসল যখন আবাদ হবে, তার আগে কৃষকদের প্রণোদনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে সাম্প্রতিক বন্যায় বেশ কিছু উপজেলার নিম্নাঞ্চলে উঠতি ফসল নষ্ট হওয়ায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুনর্বাসন প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিস্তা নদীবেষ্টিত উপজেলা কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া এবং পীরগাছার কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে, এসব উপজেলায় ৩০ দশমিক ৮২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এরমধ্যে শুধু রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২৬ হেক্টর। যার আর্থিক পরিমাণ ৪১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এছাড়া ৪ দশমিক ৬২ হেক্টর সবজির ক্ষতি হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। যদি নির্দেশনা পাই তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা দেওয়া হবে। এর আগে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা কঠিন। কারণ কোনো কারণে পুনর্বাসন প্রণোদনা পাওয়া না গেলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *