উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে হামলা-গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে হামলা-গোলাগুলি

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় এই হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অবশ্য নতুন করে হওয়া এই সহিংসতায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় এই হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অবশ্য নতুন করে হওয়া এই সহিংসতায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীরা মণিপুরের জিরিবাম জেলার মংবুং মেইতেই গ্রামে নতুন করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে পুলিশ বুধবার জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলাকারীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এবং ওই এলাকার গ্রাম স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিশোধ নেওয়ার প্ররোচনা দেয়।

তবে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।

একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং রাত ৮টার দিকে গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়।”

দ্য হিন্দু বলছে, কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযান পরিচালনা করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে বলে অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীদের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “গত কয়েকদিনে গ্রামবাসীরা মংবুং মেইতেই গ্রামের ওপরে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখেছেন।”

পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সোমবার ইম্ফল পূর্ব জেলার চানুং এবং সি জুলেন গ্রামে অনুসন্ধান অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয়ভাবে তৈরি সিঙ্গেল ব্যারেল, এসএলআর ম্যাগাজিন এবং তাজা গোলাবারুদ জব্দ করেছে।”

সংবাদমাধ্যম বলছে, উপত্যকায় বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্যকারী কুকি উপজাতিদের মধ্যে উত্তেজনা গত কয়েক মাস ধরে বেড়েছে। যার ফলে তাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষও হয়েছে। গত ১৬ মাস ধরে চলমান এই সংঘাতের কারণে ২২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

এছাড়া চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে রাজ্যটিতে অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে মণিপুরে চলমান জাতিগত সংঘাত মোকাবিলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসের দু’টি ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কয়েকদিন পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সহিংসতায় বিধ্বস্ত রাজ্যটিতে সিআরপিএফের ২ হাজার সদস্যের দু’টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এছাড়া ভারতীয় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিআরপিএফের নতুন এই দুটি ইউনিটের সব কোম্পানিকে মণিপুরের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটে পাঁচ থেকে ছয়টি কোম্পানি রয়েছে। দু’টি ব্যাটালিয়নে সিআরপিএফের প্রায় ২ হাজার জওয়ান ও কর্মকর্তা রয়েছেন। 

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *