সাড়ে ৩ কোটির জমিতে হাজার কোটি ঋণ

সাড়ে ৩ কোটির জমিতে হাজার কোটি ঋণ

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি করেছেন পিতা। এই পণ্যের কাঁচামাল কিনতে রিজার্ভ থেকে ডলার ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই পণ্য দুবাইয়ে বসে কিনেছে পুত্রের প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে সেই অর্থ দেশে আসেনি। এভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইসহ তিনটি দেশে আটকে গেছে প্রায় ৮ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯৫৭ কোটি টাকা।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

পণ্য রপ্তানির আড়ালে বেক্সিমকোর অর্থ পাচার

রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচারের এই আয়োজন সম্পন্ন করেছে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর আর গ্লোবাল।

যুগান্তর

নিশানায় রেলের চার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী

রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৫ বছরেও কালো বিড়ালমুক্ত হয়নি। এ সময়ে মন্ত্রণালয়টি পাঁচ মন্ত্রীর হাতবদল হয়েছে। প্রতিবারই নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেলপথ নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয় ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে বাংলাদেশে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার ব্যয় দেখানো হয়েছে। গত সরকারের দীর্ঘ মেয়াদে রেলে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৫টি। ব্যয় হয়েছে সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি। বরাদ্দ থেকে লুটপাট হয়েছে।

চলমান ২৯ প্রকল্প। রেলের সম্পত্তি দখল, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য হয়েছে বেশুমার। প্রায় প্রতিটি খাতেই দুর্নীতি হয়েছে শত শত কোটি টকা। ভাগ গেছে শীর্যপর্যায় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার পকেটে। তারা দুর্নীতির টাকায় আরও ফুলেফেঁপে উঠেছেন।

প্রথম আলো

দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের অনেকেই

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পরও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অবৈধভাবে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধরাও পড়েছেন কেউ কেউ। সীমান্ত পার হতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন। এঁদের আগে (৫ আগস্টের পর) দেশ ত্যাগ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ (নাসিম) ও আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অনেকে।

কালবেলা

এক ছালামেই তছনছ জনতা

১৯৮৩ সালে জনতা ব্যাংকে চাকরি শুরু করেন আব্দুস ছালাম আজাদ। এরপর তিনি যত শাখায় কাজ করেছেন, সবখানেই বেশুমার দুর্নীতি করে নিজে লাভবান হয়েছেন এবং ব্যাংকের মারাত্মক ক্ষতি করেছেন। নিজের অপকর্ম ঢাকতে অধীন কর্মকর্তাদের ছোট-বড় শাস্তির মুখে ফেলেছেন। জেলও খাটিয়েছেন। তাদের মধ্যে ডিএমডি, ডিজিএম, এজিএম, এসপিও পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

নিরাপদে থেকে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা পাচার করে দুবাইয়ে বাড়ি বানিয়েছেন। বিপরীতে ডুবিয়েছেন জনতা ব্যাংককে। সর্বশেষ ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্বে থেকে সাড়ে ৫ বছরে দ্বিগুণ করেছেন খেলাপি ঋণ। এর বেশিরভাগই পুঞ্জীভূত হয়েছে বড় গ্রাহকদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দুদকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আজকের পত্রিকা

২০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের এলসি দায় ১১ বিলিয়ন

দেশে ডলার-সংকট ক্রমান্বয়ে কমছে—কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনটা দাবি করলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) বিল পরিশোধের মতো প্রয়োজনীয় ডলার নেই ব্যাংকগুলোর কাছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি শীর্ষস্থানীয় ২০ প্রতিষ্ঠানের এলসি মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিলের দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৬ কোটি (১১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন) ডলার। আর বেসরকারি খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ডলার। ৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার দায় নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এলসির দায় ৫২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ৪৪ কোটি ডলার। ডিরেক্টর জেনারেল ডিফেন্স পারচেজের (ডিজিডিপি) প্রায় ৩৪ কোটি ডলার। নৌবাহিনীর ২৯ কোটি ডলার। 

বণিক বার্তা

দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশে

ডলারসহ অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি উসকে ওঠা দেশগুলোর একটি ছিল শ্রীলংকা। দুই বছর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটির মূল্যস্ফীতির হার ঠেকে ৭০ শতাংশে। বৈদেশিক দায় পরিশোধে ব্যর্থতায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করা দেশটির মূল্যস্ফীতি এখন ১ শতাংশেরও নিচে। গত আগস্টে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল দশমিক ৫ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির হার দীর্ঘদিন ধরেই ছিল দুই অংকের ঘরে। অর্থনৈতিক সংকটে হাবুডুবু খাওয়া দেশটির মূল্যস্ফীতির হারও এরই মধ্যে এক অংকের ঘরে নেমে এসেছে। গত মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যদিও এক বছর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ২৭ শতাংশেরও বেশি।

কালের কণ্ঠ

সাড়ে ৩ কোটির জমিতে হাজার কোটি ঋণ

আটা, ময়দা ও সুজির একটি কারখানায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। সৌভাগ্যবান এই কারখানার নাম সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, যার অবস্থান চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা বিসিক শিল্প এলাকায়। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যেসব জমি বন্ধক নিয়ে এই ঋণ ছাড় করা হয়েছে, সেগুলোর মৌজামূল্য মাত্র সাড়ে তিন কোটি টাকা। এমনকি ওই জমির দলিলও ভুয়া বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।

এক হাজার কোটি টাকা ঋণ পাওয়া কারখানাটি দেখতে কেমন, কেমনই বা এখানকার কর্মযজ্ঞ, তা দেখতে গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে যায় কালের কণ্ঠ। চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর সংযোগ সড়ক থেকে সাগরিকা রোডে ঢুকলে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আগে হাতের ডানে বিসিক শিল্প এলাকা। এ ব্লকে দুটি প্লট (এ-৫ ও এ-৬) নিয়ে ১৯৮০ সালে কারখানাটি স্থাপন করা হয়।

এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী; ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নতুন দুয়ার খুলল;  গবেষণা জরিপ / ঢাবির ৮৪% শিক্ষার্থীই ছাত্র রাজনীতি চান না; সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামানের সব আত্মীয়স্বজনই ‘দুস্থ’;  ১২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধে বাড়বে সরকারের চাপ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *