‘আশা করছি আমরা বিচার পাব’, চিকিৎসকদের কর্মসূচিতে নির্যাতিতার বাবা

‘আশা করছি আমরা বিচার পাব’, চিকিৎসকদের কর্মসূচিতে নির্যাতিতার বাবা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে গত ৯ আগস্ট নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকে উত্তাল ওপার বাংলা। ধর্ষক ও খুনিদের বিচারে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের টানা আন্দোলন এবার রূপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে গত ৯ আগস্ট নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকে উত্তাল ওপার বাংলা। ধর্ষক ও খুনিদের বিচারে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের টানা আন্দোলন এবার রূপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে।  তবে আন্দোলনকে ঘিরে যারা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছেন, তাদেরকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। 

থেমে নেই আন্দোলন- ‘রাত দখল’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অভিনব কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতেও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকতে বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারে লোকেরা। 

বিক্ষোভস্থল থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আশা করছি প্রশাসনে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তোমরা একটু ধৈর্য রাখো। তোমরা বাধ্য হয়েছ এই আন্দোলন করেছ। আশা করছি আমরা বিচার পাবো।’ 

চিকিৎসকদের বিক্ষোভে এসে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েরা আজ রাস্তায়, তাই বাড়িতে থাকতে পারিনি, ছুটে এসেছি এখানে। প্রশাসন তোমাদের কোথায় দাঁড় করিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে যোগ দিতে বলছেন, আমার কাছে এটাই উৎসব।’

গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। তবে দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; তবে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, ওই চিকিৎসক দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। 

ধর্ষকদের শনাক্ত গ্রেপ্তার ও কঠোর সাজার দাবিতে এক মাস ধরে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। 

এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *