অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় যেতেই চাই, সে জন্যই তো রাজনীতি করছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় যেতেই চাই, সে জন্যই তো রাজনীতি করছি।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে উসখুস করছেন’- উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কথা। আমরা আশা করি না, তিনি এই ধরনের মন্তব্য করবেন। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাইছি, কারণ যত দেরি করবেন হাসিনারা ফিরে আসবে। আমরা সহযোগিতা করছি আপনারাও সহযোগিতা করেন। আমরা ক্ষমতায় যেতেই চাই, সেজন্যই তো রাজনীতি করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ভয়াবহ দানবের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে যখনই দেখা হতো তখনই বলতাম আমাদের বুকে পাথর হয়ে বসে আছে। কিন্তু পাথর গেলেও এখনও স্বস্তি নেই। কোথায় যেন আটকা আছি। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখন যে সরকার আছে সেটা অন্তর্বর্তী সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্রে এসেছে প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। হিসাব করে দেখা গেছে ১শ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। একেবারে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে মানবিকতাকে। যেখানে যাবেন আওয়ামী লীগের চোরেরা বসে আছে। এখনও বসে আছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার শুধু বিএনপির সঙ্গে নয়, সব দলের নেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের সব সড়কের নামগুলো বিশিষ্ট মানুষের নামে করে দিয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। তরুণদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন তরুণ প্রজন্মের যুগ। যখন আব্বাস ও খোকা ভাই ছিলেন তখন ঢাকা শহর কাঁপতো। তোমাদেরও কাঁপাতে হবে। শেখ হাসিনা খোকা ভাইয়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। কখন পরাজিত হয়? যখন তাকে মানুষ নিজের কাছের মানুষ হিসেবে বেছে নেয়। আমি তাকে কখনও উত্তেজিত হতে দেখিনি, অত্যন্ত ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। তার মৃত্যু আমাদের কাছে পাহাড়ের মতো ভারী হয়েছিল।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ও সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
এএইচআর/জেডএস