বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচি পালন করেছেন যশোরের সাধারণ শিক্ষার্থীর। এ সময় তাদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে সড়কপথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচি পালন করেছেন যশোরের সাধারণ শিক্ষার্থীর। এ সময় তাদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে সড়কপথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন শহরতলীর পালবাড়ি মোড়ে। এরপর সেখানে আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মিছিলটি যশোর বাইপাস সড়ক ধরে এগিয়ে বেলা ১টার দিকে যশোর চাচড়াঁ চেকপোস্ট তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেন। সে সময় চাচড়াঁ চেকপোস্ট মোড়ের তিনটি সড়ক (যশোর-খুলনা-বেনাপোল-ঢাকা-ঝিনাদাহ) অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এদিকে চাচড়াঁ চেকপোস্ট মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান এবং বক্তব্য দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। তারা দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ছাড়াও এদিন যশোর চাচড়াঁ চেকপোস্ট মোড় থেকে তিনটি সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখায় কয়েকশ যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে আসা কয়েক শতাধিক পণ্যবাহী ও ভারত থেকে আগত পাসপোর্ট যাত্রীদের যাত্রীবাহী বাস আটকা পড়ে। অপরদিকে বেনাপোল-খুলনা মহাসড়কে বেনাপোল অভিমুখী যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনও আটকা পড়ে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কগুলোতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ্যান্টনি দাস অপু/এএমকে