বরিশালে শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সিফাত নামে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বরিশালে শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সিফাত নামে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই গাড়িতে থাকা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নেয়ামত খান জানান, হামলার শিকার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কনস্টেবল সিফাত গুরুতর আহত হয়েছেন। কনস্টেবল হাসনাত, রিয়াজসহ মোট চারজন ওই গাড়িতে ছিলেন।
তিনি জানান, পুলিশ সদস্যদের জন্য খাবার নিয়ে তারা বরিশাল নগর থেকে বাবুগঞ্জের রহমতপুর বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে দেখতে পান আন্দোলকারী ছাত্রদের মিছিল। ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের গাড়িটি সড়কের পাশে চাপিয়ে দেন চালক। তবে কিছু ছাত্র আমাদের গাড়ি দেখে হই হুল্লোড় শুরু করলে, গাড়িটি রেখেই চালক দৌড় দেয়। তখন আমরা আটকা পড়ে গেলে কয়েকজন লোক আমাদের কাছের মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দেন। এ সময় হামলায় আমাদের এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় খাবার বহনকারী ওই গাড়িটি চৌমাথা পুলিশ বক্সের সামনে আসে। শিক্ষার্থীরা গাড়িটিকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বললেও তা চালক শুনছিল না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। এছাড়া পুলিশ বক্সটিও ভেঙে ফেলা হয়। আহত ও আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের বিকেল ৪টার দিকে ওই মসজিদ থেকে অ্যাম্বেুলেন্স দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
তবে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, এই হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জড়িত নয়। তাদের অহিংস আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীনরা ভাঙচুর চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেইনি। তারপরও শিক্ষার্থীরা অযথা পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর