হজরত নূহ আলাইহিস সালামের যুগে মহাপ্লাবন হয়েছিল। এই প্লাবনে সব কিছু ডুবে গিয়েছিল। পৃথিবীতে কোনো শুকনো জায়গা ছিল না। মানুষের বাসস্থান, উঁচু পাহাড়,পর্বত সব ডুবে গিয়েছিল। নূহ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে যেই বিশাল নৌকা তৈরি করেছিলেন সেখানে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাই শুধু এই বন্যা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
হজরত নূহ আলাইহিস সালামের যুগে মহাপ্লাবন হয়েছিল। এই প্লাবনে সব কিছু ডুবে গিয়েছিল। পৃথিবীতে কোনো শুকনো জায়গা ছিল না। মানুষের বাসস্থান, উঁচু পাহাড়,পর্বত সব ডুবে গিয়েছিল। নূহ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে যেই বিশাল নৌকা তৈরি করেছিলেন সেখানে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাই শুধু এই বন্যা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
তার নৌকায় আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আল্লাহতে বিশ্বাসী ঈমানদার ব্যক্তিরা এবং প্রত্যেক প্রাণীর এক জোড়াকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল নৌকাতে।
নূহ আ. নৌকায় উঠার সময় একটি দোয়া পড়েছিলেন। এই দোয়াটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। যখন কেউ নৌযানে আরহণ করেন, তাদের জন্যও এই দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত। দোয়াটি হলো—
بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ
বাংলা উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রাব্বি লাগাফুরুর রহিম।
বাংলা অর্থ : পবিত্র আল্লাহর নামেই গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা হুদ, আয়াত : ৪১)
ইমাম জাসসাস রহ. বলেন, আল্লাহ আমাদের নূহ আ.-এর ভাষ্যে নৌযানে আরোহণে সময় এই আয়াতটি পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন।(আহকামুল কোরআন : ৭/৯৮)
বন্যা শেষে নৌকাটি জুদি নামক পর্বতে এসে ভিড়েছিল। কারো কারো মতে, জুদি পর্বত তুরস্কের আরারাত পর্বতমালার অংশ। আবার কেউ মনে করেন, ইরাকের মসুলের আশপাশে এই পর্বত অবস্থিত। এর ভিন্নমতও পাওয়া যায়।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, (আল্লাহর শাস্তি ও কাফিরদের ধ্বংসের পর) বলা হলো, ‘হে পৃথিবী! তুমি পানি শোষণ করে নাও এবং হে আকাশ! তুমি ক্ষান্ত হও।’ এরপর বন্যা প্রশমিত হলো এবং কাজ সমাপ্ত হলো। নৌকাটি জুদি পর্বতের ওপর স্থির হলো এবং বলা হলো, ‘জালিম সম্প্রদায় ধ্বংস হোক।’ (সূরা হুদ, আয়াত : ৪৪)