পৌর অডিটরিয়াম নির্মাণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলামসহ ছয়জনের নামে মামলা করেছে দুদক।
পৌর অডিটরিয়াম নির্মাণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলামসহ ছয়জনের নামে মামলা করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। যার মামলা নম্বর- ৫, ২০২৪।
মামলার আসামিরা হলেন- পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মো. শফিকুর রহমান, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী অলক সমাদ্দার, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নিয়াজুর রহমান এবং সাবেক হিসাবরক্ষক এস এম শাহিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী পৌরসভার অডিটরিয়াম নির্মাণের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ১১ হাজার ২৬০ টাকায় ১৮ মাস মেয়াদে চুক্তি সম্পাদিকত হয়। কিন্তু বাস্তবে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৯৩০ টাকার কাজ সম্পন্ন হলেও নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অডিটরিয়াম নির্মাণ বাবাদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বাস্তবায়ন না করেই ১ কোটি ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৭০ টাকার অতিরিক্ত বিল আত্মসাৎ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৭৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (৫) ২ ধারায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি সাবেক মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা দুদকের ডিপার্টমেন্টের মামলা, এখন তদন্ত হবে। তবে অডিটোরিয়ামটি ইতোমধ্যে ভাড়া দিচ্ছে এবং ব্যবহার করছে একটি মহল যা তদন্তে চলে আসবে। একটি মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুধু মামলা করিয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি বলেন, অডিটোরিয়ামটি আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে পরিমাপ করিয়েছি। অনুসন্ধানে আমরা দেখেছি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১ কোটি ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৭০ টাকা অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মো. রায়হান/এফআরএস