ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ মানুষের রোষ থেকে বাঁচতে ওইদিনই ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ মানুষের রোষ থেকে বাঁচতে ওইদিনই ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ওই সময় বলা হয়, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যাবেন। কারণ তার বোন শেখ রেহানা ব্রিটিশ নাগরিক এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ এমপি। যদিও শেখ হাসিনা এখনো যুক্তরাজ্যে যেতে পারেননি।
এরমধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ অনেকে চাইছেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যের আশ্রয় নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে একটি নিবন্ধ লিখেছেন রূপা হক।
এতে তিনি লিখেছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার বিষয়টি বিবেচনায় যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।”
রূপা হক লিখেছেন, “অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, শেখ হাসিনা শুধু শাড়ি পরা একজন সপ্ততিপরবৃদ্ধাই নন, ’বর্বর’ শাসকও। সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে তিনি ভারতে নির্বাসিত হন।”
এছাড়া ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রূপা হক লিখেছেন, “স্বৈরাচারী’ কন্যা শেখ হাসিনা দেশটির ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় শাসন করেছেন (সর্বত্র তার বাবার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করেছেন)।”
নিবন্ধের শেষে রূপা হক লিখেছেন, “আমার বাংলাদেশি ভাই-বোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সরকার নিয়ে কণ্ঠ তুললেই নিপীড়নের শিকার হওয়ার ভয়ের সংস্কৃতি আর নেই। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আশা করি সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে।”
সূত্র: দ্য স্ট্যান্ডার্ড
এমটিআই